মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করে এক হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে পেট থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফে পেটের ভেতরে করে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে মো. ইসমাঈল প্রকাশ বাঘাইয়া (১৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, একই এলাকার ইয়াবার গডফাদাররা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মো. ইসমাঈল বাঘাইয়কে পায়ুপথ দিয়ে পেটের ভিতর করে ইয়াবাগুলো ঢুকিয়ে দেয়। এসব ইয়াবা চট্টগ্রামে পৌঁছে দেয়ার জন্য শনিবার টেকনাফ থেকে বাসে করে রওনা দিলে পথে তার জ্বালা-যন্ত্রণা অনুভূতি হয়। এতে তিনি হ্নীলা বাসস্টেশনে নেমে তার বড় বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপর তার পেটে জ্বালা-যন্ত্রণা বেড়ে যায়। সন্ধ্যায় তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে লাশটি এলাকায় নিয়ে আসে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। রোববার সকালে ময়নাতদন্ত করে তার পেট থেকে এক পোটলা ইয়াবা পাওয়া যায়।
টেকনাফ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, ইয়াবা বহনের সময় একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ইসমাঈলের লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। রোববার সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে কর্তব্যরত ডাক্তার ময়নাতদন্ত করে পেটের ভিতর থেকে কনডম মোড়ানো এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইয়াবার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ জানুয়ারি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেষখালীয়া পাড়ার গভি সুলতান প্রকাশ লুলা মিয়ার ছেলে মোস্তাক আহমদ পেটের ভেতরে করে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে চট্টগ্রামে মারা যান।