১৬ বছর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাম্রাজ্য হারিয়েছে কোরিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন দল সেনুরি পার্টি। নির্বাচনের আগে সব জরিপেই সেনুরি পার্টিকে এগিয়ে রেখেছিল মিডিয়াগুলো। কিন্তু ফলাফল একেবারেই ভিন্ন। বিরোধীদল মিনজু পার্টির পাশাপাশি মাত্র কয়েকমাসে গঠিত হওয়া পিপলস পার্টিও চমক দেখিয়েছে এবারের নির্বাচনে। পিপলস পার্টি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছে অনেকটাই। কোরিয়ার রাজনীতিতে তৃতীয় দলের তেমন কোন প্রভাব ছিলনা। কিন্তু এবার সংসদে যেকোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তৃতীয় দল পিপলস পার্টির দ্বারস্ত হতে হবে সরকারী এবং বিরোধী উভয়কেই।
সরকারী দলের হারের প্রধান কারণ সাধারণ জনগণের অর্থনীতি নিয়ে অসন্তোষ। অর্থনীতিকে সঠিক জায়গায় রাখতে পারেনি বলে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়েছে এমন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রেসিডেন্ট পার্ক গুন হে দেশের অর্থনীতিকে যেভাবে পরিচালনা করছেন তা নিয়ে সমালোচনা চলছিল। ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব নিয়ে তরুণদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। ক্রমান্বয়ে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে কিন্তু পারিবারিক ঋণ বেড়েই চলছে।
চাকরিচ্যুত কর্মজীবীদের আইনি সুরক্ষা দুর্বল করার সরকারি উদ্যোগ এবং বিরোধীদের দমন-পীড়নের নীতিও প্রেসিডেন্ট পার্কের বিপক্ষে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনপূর্ব জরিপে ক্ষমতাসীন দল সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলে আভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট গ্রহণের পর ফলাফল প্রকাশ শুরু হতেই বিরোধীদলের সাফল্য পরিষ্কার হতে শুরু করে।
আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের জন্য একটি কঠিন আভাস দিয়ে গেল। সেনুরি পার্টি খুব সহজেই পার পেয়ে যাবেন বলে যারা ধারণা করেছিল তাদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এখন চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে।