কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার মি. চো তে ইয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ ও রিকশার প্রতীক উপহার দেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার সকালে তার ফেসবুকে এ সংক্রান্ত ছবি পোস্ট করেন তিনি।
এ সফরে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ, গেমস অ্যাপ, ভিডিও গেমস ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল গেমস ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস এপ্লিকেশন অ্যাপ, এনিমেশন অ্যাপ, সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশন, স্মার্ট লার্নিং ও ই-লার্নিং কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট এবং ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তারা প্রতিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
এতে পলক আরো জানান, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল-এ অনুষ্ঠিতব্য আইসিটি সেমিনারে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী পরিচালক, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের প্রতিনিধি, বেসিস-এর সভাপতিসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন।
সেমিনারে বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন।
এ ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।
সফরের মূল আকর্ষণ হলো ১৩ মে অনুষ্ঠিতব্য দিনব্যাপী বিজনেস-টু-বিজনেস সভা যেখানে ৩৩টি বাংলাদেশি আইসিটি কোম্পানি এবং একই সেক্টরের ২৮টি দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানির অংশগ্রহণ।
এটি বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সফরকারী এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আইসিটি প্রতিনিধি দল উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রতিনিধি দলটি কোরিয়া টেলিকম এবং এসকে অ্যান্ড সি এর সিইও (কোরিয়ান আইটি সল্যুশন কোম্পানি) এবং স্যামসাং-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। পাশাপাশি পাঙ্গিও টেকনো-ভ্যালি, কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া হাতিয়ার মতো দ্বীপের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সহজ যোগাযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী গিগা আইল্যান্ড প্রজেক্ট (এ প্রজেক্টের মাধ্যমে দুর্গম দ্বীপ এলাকায় সহজ যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়) সরেজমিনে ঘুরে দেখবেন বলে জানা গেছে।
নতুন বার্তা