Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সুন্দরবন ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের করের অর্থ ব্যবহার হচ্ছে কি?

base_1474648285-shundor-ban20151127203834

ফ্রেন্ডস অব দি আর্থ মার্কিন এক বেসরকারি পরিবেশবাদী সংগঠন। সম্প্রতি পরিবেশভিত্তিক ওয়েবসাইট ইকোওয়াচে সংগঠনটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংগঠনটি দাবি করছে, তাদের কাছে এমন নথি রয়েছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে মার্কিন করদাতাদের ডলারে সাহায্যপ্রাপ্ত ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক বা এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশের সুন্দরবনের কাছে খুলনায় ওরিয়নের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করার পরিকল্পনা করছে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের করের অর্থ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনটি।

chardike-ad

 

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ নিয়ে আন্দোলনকারীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে জয়লাভ করেছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার— যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শহর— বাইরে প্রস্তাবিত একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করার চিন্তা-ভাবনা করছিল ইউএস এক্সিম ব্যাংক। কিন্তু চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর চাপে তা থেকে সরে এসেছে ব্যাংকটি। এ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ওরিয়ন-ঢাকা প্রকল্প নামে পরিচিত। ঢাকা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে এটি কয়লা পোড়াবে, যা ১ কোটি ৭০ লাখ লোকের বায়ু ও পানি দূষিত করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন ছাড়া ওরিয়ন-ঢাকা প্রকল্পটি এগোবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এ থেকে ইউএস এক্সিম ব্যাংকের সরে আসা মানুষ ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়।

যুদ্ধে জয় হলেও সংগ্রাম এখনো অব্যাহত

ব্যাংকটির এ সিদ্ধান্তে পরিবেশবাদীরা আনন্দিত হলেও তা খুব বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে না। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আমাদের ধারণা ইউএস এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশে আরেকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন করতে যাচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের কোম্পানি ওরিয়ন গ্রুপ প্রকৃতপক্ষে ইউএস এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে একটি নয়, দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দ্বিতীয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি— যা ওরিয়ন-খুলনা প্রকল্প নামে পরিচিত— সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট। সুন্দরবনের ব্যাপ্তি ভারত ও বাংলাদেশজুড়ে। এ বনটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ইরাবতী ডলফিনের মতো বিপন্ন প্রাণীর আবাস। বনটির ওপর নির্ভর করে চলে ৬০ লাখ মানুষ।

কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবন ও আশপাশের পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। হুমকিতে ফেলতে পারে হাজারো মানুষের মানবাধিকারকে। বিশ্বের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। দেশটির মানুষের আর কয়লা পোড়ানোর ক্ষতি সামাল দেয়ার সামর্থ্য নেই।

ইউএস এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফ্রেড হচবার্গ এক উপসম্পাদকীয়তে ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে নিজের বাংলাদেশ সফর নিয়ে লিখেছেন। তার ওই লেখায় বাংলাদেশের প্রকল্পে ব্যাংকটির অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। খুলনায় ওরিয়নের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্তমান অবস্থা এখন অজানা, কারণ ইউএস এক্সিম ব্যাংক এ প্রকল্পে তাদের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তথ্য জানাচ্ছে না বললেই চলে। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী শিগগিরই ওরিয়ন-খুলনা প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে। এদিকে সুন্দরবনের কাছে আরেকটি বড় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব উঠেছে, যার নাম রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে বিনিয়োগ করবে ভারতের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক। বাংলাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর তথ্যানুসারে, যদি রামপাল প্রকল্প হয়, তবে এর পর পরই ওরিয়ন-খুলনা প্রকল্প শুরু হবে। এদিকে আরেকটি আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও মার্কিন নাগরিকদের ভাবতে হবে। আর তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সর্ববৃহৎ করপোরেশন এবং পরিবেশদূষণকারী ও কর ফাঁকি দেয়া প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই) ওরিয়ন-খুলনা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের অংশ হতে যাচ্ছে। এজন্য জিই ইউএস এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়ন পেতে যাচ্ছে। বিতর্ক জিইর কাছে নতুন কোনো বিষয় নয়। জিইর পরিবেশ-সংক্রান্ত ট্র্যাক রেকর্ড অত্যন্ত বাজে। প্রতিষ্ঠানটির ট্র্যাক রেকর্ড ঘাঁটলে দেখা যাবে, এটি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বিষাক্ত বর্জ্য পানি ফেলে হাডসন নদী দূষিত করেছিল এবং তাদের সরবরাহকৃত পারমাণবিক চুল্লির সমস্যার কারণে ২০১১ সালে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটে। জিই দীর্ঘদিন ধরে ইউএস এক্সিম ব্যাংকের শীর্ষ সুবিধাভোগীদের অন্যতম। এবং বোয়িংয়ের পর জিই ইউএস এক্সিম ব্যাংক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থায়ন পায়। ওরিয়ন-খুলনা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে টারবাইন জেনারেটর সরবরাহের কাজ পেয়েছে জিই। ফ্রেঞ্চ বিদ্যুৎ কোম্পানি অ্যালস্টম কেনার পর থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়াসহ পুরো বিশ্বে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় নতুন করে আগ্রহী হয়ে উঠেছে জিই।

এফওআইএর উদ্ঘাটন

সম্পাদিত ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্টের (এফওআইএ) যেসব নথি আমরা পেয়েছি, তাতে ধারণা করা যায় যে, ইউএস এক্সিম ব্যাংক ওরিয়ন-খুলনা প্রকল্পে অর্থায়ন করার বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করছে এবং জিই এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

নথি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউএস এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও জিইর সঙ্গে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করে। এ আলোচনায় খুলনায় ওরিয়নের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থাকার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এফওআইএর নথি বলছে, ইউএস এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফ্রেড হচবার্গের বাংলাদেশ সফরকালে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ও জ্বালানি খাতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যার মধ্যে জিইর জ্বালানি উপদেষ্টা ও পরিচালক ছিলেন। ওরিয়ন-খুলনা প্রকল্পে জিইর জড়িত থাকার অভিযোগ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় আরো বেশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে প্রতিষ্ঠানটির আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে, এসব সাক্ষাতে ওরিয়ন কয়লা প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

ফ্রেড হচবার্গ ও জিই কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈঠকের একটি নথিতে একটি নোট রয়েছে, যেখানে অস্পষ্টভাবে বা অযত্নে লেখা— ‘আদানি কোল প্রজেক্ট’। অনেক শাখা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আদানি গ্রুপ একটি ভারতীয় বৃহৎ করপোরেশন, যার মধ্যে রয়েছে আদানি মাইনিং; যেটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য কয়লাসমৃদ্ধ দেশে কার্যক্রম চালায়। এ থেকে সন্দেহ হতে পারে যে, আদানির মালিকানাধীন বিতর্কিত কারমাইকেল কয়লাখনি ও অ্যাবট পয়েন্ট কোল এক্সপোর্ট টার্মিনাল (যা গ্রেট বেরিয়ার রিফ্রে বড় ঝুঁকি তৈরি করছে) থেকে আসা অস্ট্রেলিয়ান কয়লা বাংলাদেশের ওরিয়নের কয়লা প্রকল্পে সরবরাহ করা হতে পারে।

ভারত সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে নিজেদের কয়লা রফতানি বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা করছে। ওরিয়নের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কয়লা ব্যবহার করা হবে, তা আদানির সমস্যাযুক্ত কয়লা প্রকল্পগুলো থেকে আসতে পারে— এ ধারণাকে উসকে দিচ্ছে এ বিবৃতি। হিসাব অনুযায়ী, ইউএস এক্সিম ব্যাংকও আদানির কারমাইকেল কয়লাখনিতে অর্থায়নের চিন্তা করছে। যদিও এখনো এ ধারণা পুরোপুরি কল্পনাভিত্তিক। তবে অস্ট্রেলিয়ার আদানির কয়লা প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে ওরিয়নের প্রকল্পগুলোয় কয়লা সরবরাহ করা হলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জলবায়ু বিপর্যয় এবং সামাজিক ও পরিবেশগত ধ্বংসের বিভিন্ন স্তরে জড়িয়ে যাবে।

ওবামার জলবায়ু নীতি এড়ানো

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আমলে নিলে এটা খুবই হতাশাজনক যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এখনো কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলোয় অর্থায়ন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বহুল আলোচিত জলবায়ু নীতি, ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যানের অধীনে বিদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন সীমিত করতে তার প্রতিশ্রুতি, সম্প্রতি প্যারিস চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে (যা বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বৃদ্ধি হতে না দেয়াকে অনুপ্রাণিত করবে এবং যা কয়লায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন বাতিল করে) নতুন করে কয়লার বিস্তার ঘটাতে দেশটির সহযোগিতার মনোভাব খাটো করবে। এটা আরো প্রশ্ন তুলছে যে, আর কোনো জীবাশ্ম জ্বালানিতে ইউএস এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করার পরিকল্পনা করছে।

তৃণমূলের চাপ        

বড় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পুরো বিশ্বের মানুষ সফলভাবে কয়লা সমীকরণকে চ্যালেঞ্জ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পরিবেশবাদী সংগঠন এবং সুশীল সমাজের চাপে পড়ে ওরিয়ন-ঢাকা প্রকল্প নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউএস এক্সিম ব্যাংক। পরিবেশবাদী সংগঠন ও সুশীল সমাজ জুনের শেষ দিকে ১ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি স্বাক্ষরযুক্ত একটি পিটিশন দায়ের করে। পিটিশনে ইউএস এক্সিম ব্যাংককে প্রকাশ্যে ওরিয়নের কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলো থেকে অর্থায়ন বাতিল করার ঘোষণা দেয়ার দাবি করা হয়েছে। কয়লার হাত থেকে সুন্দরবনকে বাঁচাতে বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিবাদ চলছে। এ নিয়ে আয়োজন করা দুটি মার্চে হাজার হাজার বাংলাদেশী অংশ নিয়েছিল। এত লোকের সমাবেশ গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম।

অতিসম্প্রতি রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে সমর্থন করায় বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছিলেন একজন ছাত্র। এজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। মানুষ এখন বলছে, নতুন করে কয়লা ব্যবহার আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য বিষের মতো এবং আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অস্বীকার করছি।

সুন্দরবন রক্ষায় শুধু বাংলাদেশই লড়াই করছে না, এটা এখন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। গত বছর প্যারিস, ওয়াশিংটন ডিসি, আটলান্টা ও নিউইয়র্কে ‘সুন্দরবন রক্ষা করো’ শিরোনামে বিক্ষোভ হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদানের দিন নিউইয়র্কে পরিবেশবাদী সংগঠন ও স্থানীয় বাংলাদেশী, ভারতীয় ও মার্কিন নাগরিকরা ‘সুন্দরবন রক্ষা করো’ শিরোনামে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা সুন্দরবন রক্ষা ও বাংলাদেশে ক্ষতিকর কয়লা প্রকল্পগুলো বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার সম্মান রাখতে, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য বিশ্ব রেখে যেতে এবং সুন্দরবন যেসব মানুষ ও প্রাণীর আবাসস্থল, তাদের খাতিরে ইউএস এক্সিম ব্যাংকে অবশ্যই প্রকাশ্যে চূড়ান্তভাবে ওরিয়ন-খুলনা কয়লা প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করার ঘোষণা দিতে হবে।

ইকোওয়াচ থেকে ভাষান্তর আবু সাঈদ