base_1475488988-n001322_ohsumi_pic1-3148s2225xidk03ewsighs

চিকিৎসাশাস্ত্রে ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কার পেলেন জাপানি বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহসুমি। মেকানিজম ফর অটোফ্যাগি বা মানবশরীরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোষ ভেঙে যাওয়া এবং কিছু উপাদান পুনর্ব্যবহারযোগ্য হওয়ার প্রক্রিয়া আবিষ্কারের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

ইয়োশিনোরি ওহসুমি জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক এবং একজন কোষ জীববিজ্ঞানী। তিনি ১৯৪৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাপানের ফুকুওয়াকাতে জন্মগ্রহণ করেন। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে স্নাতক এবং ১৯৭৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

chardike-ad

ইয়োশিনোরি ওহসুমির এ গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ক্যানসারের কারণও এর বিস্তারের প্রক্রিয়া উদঘাটনে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাপানি টিভি চ্যানেল এনএইচকে এর সঙ্গে লাইভ ফোনালাপে ওহসুমি বলেন, ১৯৯০ এর দশকে অটোফ্যাগি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তিনি এ সম্মাননা পেলেন। এটা হলো কোষের ‘আত্মবিনাশের’ প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করা। এই প্রক্রিয়ায় কোষগুলো নিজে নিজেই ভেঙে পড়ে এবং ভেতরের কিছু উপাদানকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।

অটোফ্যাগিকে কেন তিনি গবেষণার বিষয় হিসেবে বেছে নিলেন এমন প্রশ্নে ওহসুমি বলেন, অন্যদের চেয়ে আলাদা কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, এই স্বয়ংক্রিয় ভাঙন (বিনাশ) একটা মজার বিষয়বস্তু হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, মানবদেহ নিরবচ্ছিন্নভাবে এই স্বয়ংক্রিয় বিনাশ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। একে নিজের মাংস নিজেই ভক্ষণ করার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। আর এই ধ্বংস ‍ও নতুন কোষ সৃষ্টির মধ্যে সব সময় খুব সুন্দর ভারসাম্য বজায় থাকে। আসলে প্রাণ বলতে এটাই।

উল্লেখ্য, সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল ১৮৯৫ সালে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তন করেন। ১৯০১ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে নোবেল কমিটি। ছয়টি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেগুলো হল চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য, অর্থনীতি ও শান্তি।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে পুরস্কার ঘোষণা করে থাকে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।

সূত্র: বিবিসি