র্যান্ড কর্পোরেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক হিসেবে মনে করা হচ্ছে ১৩ থেকে ২১টি পরমাণু বোমা বানানোর উপযোগী উপাদান উত্তর কোরিয়ার হাতে আছে। এ সব বোমা ২০২০ সালের মধ্যে তৈরি করা হবে। এ ছাড়া, এ সময়ের মধ্যে আরো ৫০ থেকে ১০০টি পরমাণু বোমা বানানোর উপযোগী উপাদান দেশটি তৈরি করতে পারবে।
অন্যদিকে, মিশ্র পন্থা অবলম্বন করে দেশটি পরমাণু বোমার উপাদান তৈরির খরচও কমিয়ে আনতে পারবে উত্তর কোরিয়া। এতে এ জাতীয় উপাদান ব্যাপক মাত্রায় তৈরি করতে পারবে উত্তর কোরিয়া।
গত মাসের ৯ তারিখে দেশটি পঞ্চম পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। একে দেশটির এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু বোমার পরীক্ষা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পিয়ংইয়ং-এর পরমাণু বোমা সক্ষমতা দিনে দিনে বাড়ছে তাই এ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে প্রতিবেদনে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া, বিমান বা জাহাজযোগে পরমাণু বোমা মোতায়েনের সক্ষমতা আছে বলেও দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। আমেরিকার মতো দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কাজ করে চলেছে উত্তর কোরিয়া। ২০২০ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এ ক্ষেত্রে পুরো সক্ষমতা অর্জন করবে পিয়ংইয়ং। পরিণামে এটি আমেরিকা এবং তার মিত্রদের জন্য মারাত্মক জাতীয় নিরাপত্তা সংকট ডেকে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।