162685_143

জাপানের দুই কেবিনেট মন্ত্রী বুধবার বিতর্কিত একটি সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেছেন। জাপানের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ওই সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শনের পর তারা সেখানে গেলেন। এতে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। দেশ দুটি বলেছে, জাপানি আইনপ্রণেতাদের সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শনের ঘটনা টোকিও’র আগ্রাসী অতীতকে মনে করিয়ে দিয়েছে।

chardike-ad

জাপানের অভ্যন্তরীণবিষয়ক মন্ত্রী সানায়ে তাকাচি ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক মন্ত্রী কাটসুনোবি ইয়াসুকুনি সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেছেন। তারা দেশটির রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। জাপানের চার দিনব্যাপী শরৎকালীন উৎসব উপলক্ষে তারা ওই সমাধিক্ষেত্রে যান। তবে আবে সেখানে যাননি। এর পরিবর্তে তিনি একটি ধর্মীয় প্রার্থনাপত্র পাঠান।

২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে তিনি টোকিও’র মধ্যাঞ্চলে ওই সমাধিক্ষেত্রে যান না যা কূটনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার মোট ৮৫ জন আইনপ্রণেতা ইয়াসুকুনি সমাধিক্ষেত্রে যান। এতে বেইজিং ও সিউল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ সমাধিক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানের লাখ লাখ সৈন্যকে সমাহিত করা হয়। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অপরাধে দন্ডিত অনেক উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারও সমাধি এখানে।

আবে ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতা বলেছেন, ইয়াসুকুনি নিহত সৈন্যদের স্মরণের একটি স্থান। তারা একে যুক্তরাষ্ট্রের আরলিংটন ন্যাশনাল সিমেট্রির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আবে ২০০৩ সালে তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ওই সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এতে বেইজিং ও সিউল ক্ষুব্ধ হয়েছিল এবং জাপানের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল।

এরপর থেকে আবে সমাধিক্ষেত্রে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। এর পরিবর্তে তিনি ধর্মীয় প্রার্থনাপত্র পাঠান।