ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে টাইগাররা। ডাবলিনের মালাহাইডে শুক্রবার মুস্তাফিজ-মাশরাফিদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১৮১ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে সৌম্য সরকারের অপরাজিত ৮৭ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ সেটি পেরিয়ে যায় ১৩৭ বল হাতে রেখেই। এই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে যাওয়ার পথ সুগম হলো বাংলাদেশের।
তুলনামূলক ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে সতর্ক কিন্তু মারমুখী শুরু করেন তামিম ও সৌম্য সরকার। গড়েন ৯৫ রানের জুটি। তবে জয়ের ব্যবধান যখন দুই অংকে নেমেছে এসেছে, দর্শক সমর্থকরা স্বপ্ন দেখছেন বড় জয়ের তখনই কেভিন ও’ব্রেইনের বলে নেইল ও’ব্রেইনের তালুবন্দি হন তামিম। ১৩ ওভার খেলা শেষে নিজের ৪৭ রানের মাথায় সাজ ঘরে ফেরেন তামিম।
৪০ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা ওপেনার সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দেন সাব্বির রহমান। এর কিছুক্ষণ পরেই একদিনের ম্যাচে নিজের ৬ষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নেন সৌম।
সাব্বিরও তার সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যান। তবে জয়ের জন্য যখন আর মাত্র ১১ রান দরকার তখনই নিজের ৩৫ রানের মাথায় ব্যারি ম্যাককার্থির বলে জর্জ ডকরেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাব্বির। অপর প্রান্তে ৭৯ রানে অপরাজিত সৌমের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিতে মাঠে নামেম মুশফিক।
ইনিংসের ২৮ তম ওভারে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে জয়সূচক রানটি। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৩ রানে। আর সৌম্য ৬৮ বল খেল ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে হেরে মোস্তাফিজ, মাশরাফি, অভিষিক্ত সানজামুলের দারুণ বোলিং এর মুখে ৪৬ ওভার ৩ বলে আইরিশদের সব কয়জন ব্যাটসম্যান সাজ ঘরে ফেরেন। বাংলাদেশ দলের মোস্তাফিজ ৯ ওভার বল করে মাত্র ২৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুইটি মেডেন ওভারও আছে তার। মাশরাফি ৬ ওভার ৩ বল করে ১৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। অভিষিক্ত সানজামুল ৫ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
সাকিব ৯ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। আর আরেকটি উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি ৬ ওভার বল করে ২১ রান দিয়েছেন।
অপর দিকে রুবেল হোসেন ৮ ওভারে ৪১ রান দিয়ে রয়েছেন উইকেটশূন্য। মাহমুদুল্লাহ ৩ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি। দিয়েছেন ১৩ রান।