Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যাদের জন্য রোজা বাধ্যতামূলক নয়

ramadan-fastপ্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য রমজান মাসের রোজা পালন করা ফরজ। তবে অসুস্থতা কিংবা শারীরিক সমস্যার কারণে বাধ্যতামূলক রোজা পালনে ছাড় পাওয়া যায়। যেকোনো কারণেই ফরজ ছেড়ে দিলে পরবর্তীতে সেটা ক্বাজা হিসেবে পালন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মুসাফির বা দীর্ঘ সফরের থাকা; জটিল কোনো স্থায়ী রোগে আক্রান্ত হলে; রোজা পালনের সময় হঠাৎ অসুস্থ হলে; ঋতুস্রাব; গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী ইত্যাদি কারণে ফরজ রোজা থেকে ছাড় পাওয়া যাবে।

chardike-ad

মুসাফির: দীর্ঘ সময় ধরে সফরে থাকাকালে রোজা রাখার নিয়ত করার পর রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ নয়। তবে কোনো সমস্যার কারণে কেউ রোজা ছেড়ে দিলে পরবর্তীতে সেই রোজা ক্বাজা পালন করতে হবে। এর জন্য কাফফারা দেওয়ার সুযোগ নেই।

জটিল কোনো স্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি: বার্ধক্যজনিত কারণে কিংবা কোনো স্থায়ী জটিল রোগের কারণে রোজা রাখতে অক্ষম; ভবিষ্যতেও সুস্থতা লাভের সম্ভাবনা নেই- এমন ব্যক্তিকে অবশ্যই কাফফারা দিতে হবে। এর কাফফারা হিসেবে প্রতি রোজার জন্য পৌঁনে দুই কেজি গম বা তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে। তবে পরবর্তীতে সুস্থ হলে ছেড়ে দেওয়া রোজার ক্বাজা পালন করতে হবে।

রোজা পালনের সময় হঠাৎ অসুস্থ হলে: রোজা পালনের সময় কোনো ব্যক্তি হঠাৎ খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে রোজা ভঙ্গের অনুমতি আছে। সেক্ষেত্রে এমন অসুস্থ ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যিনি রোজা পালনের সময় কিছু না খেলে কিংবা কিছু পান না করলে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বছরের অন্য ১১ মাসের যেকোনো সময়ে এই রোজার ক্বাজা পালন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে ওষুধ সেবনের প্রয়োজন থাকলে সে বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে রোজা পালনের চেষ্টা করা উত্তম।

ঋতুস্রাব: মাসিক ঋতুস্রাবের সময় এবং সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০ দিন রোজা ছেড়ে দিতে পারবেন মহিলারা। ওই অবস্থায় নামাজ ও রোজা আদায় করা জায়েজ নয়। তবে সুস্থ হওয়ার পর ওই নামাজ ও রোজার ক্বাজা আদায় করতে হবে।

গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী: গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীর জন্য রোজার হুকুম শিথিল করা হয়েছে। রোজার কারণে সন্তান দুধ না পেয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে- এমন আশঙ্কা হলে দুগ্ধদানকারী নারী রোজা ভঙ্গ করতে পারবেন। অবশ্যই পরবর্তীতে ওই রোজার ক্বাজা পালন করতে হবে।

রোজা ভঙ্গের পর খাওয়ার নিয়ম: যেকোনো কারণে রোজা ভঙ্গ করতে হলে ওই ব্যক্তি তার প্রয়োজন মতো সময়ে পানাহার করতে পারবেন। তবে রোজাদারদের সামনে পানাহার থেকে বিরত থাকা উত্তম।

মুসাফির বা সফরে থাকা ব্যক্তি সফর শেষে দিনের যেকোনো সময় বাড়ি ফিরলে ইফতারির আগ পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে।