‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’- বাংলাদেশের এই পররাষ্ট্র নীতিকে জটিলতার মুখে ফেলতে যাচ্ছে সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের বিবাদ। মধ্যপ্রাচ্যের এই দুটি দেশেই বহু বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে, যাদের পাঠানো অর্থে গতিশীল দেশের অর্থনীতি। সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে সৌদি আরবে; সেই সাথে বিশ্বকাপ আয়োজন ঘিরে কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজারও বড় হচ্ছে।
এর মধ্যেই সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনেতিক সম্পর্কোচ্ছেদের ঘোষণা দেয় সৌদি আরবসহ পাঁচটি আরব রাষ্ট্র। অন্য দেশগুলো হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন ও মিশর। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কাতারকে একঘরে করার সিদ্ধান্ত জানাল প্রতিবেশী দেশগুলো।
সৌদি আরবসহ দেশগুলোর অভিযোগ, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে ‘মদদ দিচ্ছে’ কাতার। দেশটিকে ইরানঘেঁষা বলেও মনে করছে প্রতিবেশীরা।
২০১৪ সালেও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল সৌদি আরব, পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এবার ঘোষণাটি এল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সৌদি সফরের পর, যেখানে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি ছিল ট্রাম্পের।
সৌদি আরবে যে আরব-ইসলামিক-আমেরিকান সম্মেলনে ট্রাম্প বক্তৃতা করেছিলেন, তাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দিয়েছিলেন। ওই সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের জন্য ইরানকে দায়ী করা হয়।