সৌদি আরব কাতারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তারা বলছে, কাতার সীমান্তে সৌদি সেনাবাহিনীর পদচারণা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া সৌদি এরই মধ্যে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে। ফলে কাতারে সৌদির হামলার ধারণা একেবারে অমূলক নয় বলে দাবি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের।
যুক্তারাষ্ট্রভিত্তিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ইনস্টিটিউট ফর গালফ অ্যাফেয়ার্স’। এর প্রতিষ্ঠাতা জনৈক আলি আহমেদ।
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সৌদি রাজ পরিবারের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি সৌদি সফরের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন যে, সৌদি যদি কাতারে সামরিক অভিযান চালায়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রকম আপত্তি নেই।
আলি আহমেদ রাশিয়ার একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ‘আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে খবর এসেছে যে, সৌদি যদি কাতারে সামরিক হামলার তৎপরতা গ্রহণ করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাতে নাক গলাবে না।’
ইনস্টিটিউট ফর গালফ অ্যাফেয়ার্সের গবেষণা এ রকম আন্দাজ করলেও বড় কোনো সংবাদ মাধ্যমে এ ধরনের কোনো খবর এখনো আসেনি। সৌদি আরব যদি শেষ পর্যন্ত সত্যি সতি কাতারে সামরিক তৎপরতা চালায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সেটা খুবই বাজে ব্যাপার হবে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের।
উল্লেখ্য, আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি লংঘনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে সৌদি আরবসহ সৌদি আরবের মোট ছয়টি দেশ।
সৌদি এবং সম্পর্কচ্ছেদ করা অন্য ছয় দেশ যে অভিযোগ এনেছে, তা অবশ্য কাতার অস্বীকার করেছে। কাতার বলছে, তাদের উপর যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারটিকে কাতার ‘অন্যায় পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।