Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কন্টেইনারে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ

kala-brown২০১৬ সালের শেষ দিকের কথা। কালা ব্রাউন ও তার বয়ফ্রেন্ড চার্লস কার্টারকে অপহরণ করেছিল টোড কোহলেফ। চার্লসকে প্রাণে মারলেও কালা ব্রাউনকে জীবিত রেখেছিল। এক শিপিং কন্টেইনারে আটকে রেখেছিল তাকে। এরপর দিনের পর দিন চলে ধর্ষণ। এভাবে কেটে যায় ২ মাস। ব্রাউনকে যৌনদাসীতে পরিণত করেছিল সে।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর টোড কোহলেফ সম্প্রতি এ লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলিনায়। ব্রাউন যেভাবে উদ্ধার হয়েছিল শুক্রবার তার ভিডিও চিত্র ফাঁস করেছে পুলিশ।

chardike-ad

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হচ্ছে, টোড কোহলেফ একজন সিরিয়াল কিলার। সে সাত সাতটা খুন করেছে। সর্বশেষ তার রোষানলে পড়ে খুন হয় চার্লস কার্টার। তবে ধর্ষকের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে বেঁচে যান কালা ব্রাউন। তাকে সে কৌশলে নিজ ফার্মেই শিপিং কন্টেইনারে তালাবদ্ধ করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। লোক চক্ষুর আড়াল করতে সে ওই কন্টেইনারে রংও করেছিল।

নিখোঁজ এই দম্পতিকে খুঁজতে গিয়েই মূলত সিরিয়াল কিলারের সন্ধান। পুলিশ কালা ব্রাউন দম্পতির মোবাইল ফোনের ট্রাকিং ধরে অনুসন্ধানে এগুতে থাকে। সেই পথ ধরে যখন ফার্মে আসেন তদন্ত কর্মকর্তারা, তখন কন্টেইনার থেকে জোরে চিৎকার ও চেচামেচির আওয়াজ পাওয়া যায়।

এসময় কন্টেইনার কেটে পুলিশ ব্রাউনকে উদ্ধার করে। কন্টেইনারের মধ্যে ব্রাউনকে কুকুরের মতো ছিকলে বাধা ছিল। তিনি কন্টেইনারের মেঝেতে পড়েছিলেন। তবে তার গায়ে পোশাক ছিল। এবং তাকে নিয়মিত সব দরকারি খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হতো।

ব্রাউনকে উদ্ধারের পর তার বয়ফ্রেন্ড কোথায় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কে গুলি করেছে- এমন প্রশ্নে তিনি পুলিশকে বলেন, কোহলেফ তার বুকে, মাথায় গুলি করে মাটিতে পুতে রেখেছে। ব্রাউনকে উদ্ধারের আগে পুলিশ কন্টেইনারের আশপাশ থেকে আরও ৩ মরদেহ উদ্ধার করে।

ব্রাউন পরে পুলিশকে জানান, চার্লস কার্টার ও তিনি কোহলেফের ফার্মের কাজ করতে এসেছিলেন। আর সেটা করতে গিয়েই তারা এ ধরনের লোমহর্ষক কাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কোহলেফ তার বয়ফ্রেন্ডকে হত্যা করে। আর তাকে নিয়ে অন্ধকার কন্টেইনারে আটকে রাখেন। এরপর সে তাকে প্রতিদিন ধর্ষণ করতো।