বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৫ রানের টার্গেটে ৫৯ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে বিশাল জয় তুলে নিয়ে আগামী ১৮ জুন ফাইনালে চীরশত্রু পাকিস্তানের মুখোমুখি ভারত। ১২৩ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রোহিত শর্মা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নিজেই ব্যাটিং ব্যর্থতার দায়স্বীকার করে নিয়েছেন। তার মতে আরও কিছু রান বেশি করলে ভালোভাবে লড়াই করা সম্ভব ছিলো।
মাশরাফি বলেন,‘আমরা ৩০০ রান করতে পারতাম, এমনকি ৩২০ রানও করা যেত। তবে আমাদের সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়াতে আমরা পেছনে পরে গিয়েছি।’ তবে এরপরেও হতাশ হচ্ছেন না টাইগার অধিনায়ক। বরং এরপরে আরও শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে আমরা আরও শক্তিশালীভাবে ফিরে আসবো। আমাদের শেখার প্রয়োজন। আমাদের স্কিল ভালো ছিলো, কিন্তু আমরা মানসিক দিক থেকে শক্তিশালী নই। ’
প্রথমে টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান করে টাইগাররা। বাংলাদেশের তামিম ৭০, মুশফিক ৬১ ও মাশরাফি ৩০ রান ছাড়া আর তেমন কেউ ভালো করতে পারিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা তাদের দক্ষতার প্রমাণ দিলেন। প্রথম থেকেই তাদের পেশাদার ক্রিকেটারটা খেলতে থাকেন। আর তাদের নিভূল ও অসাধারণ ব্যাটের সামনে বাংলাদেশী বোলাররা প্রতিরোধ গড়তে পারিনি। রোহিত শর্মা অপরাজিত ১২৩ ও বিরাট কোহলি অপরাজিত ৯৬ রানের সুবাদে ৯ উইকেট হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত। শেখর ধাওয়ান করেন ৪৬ রান।
বাংলাদেশের হয়ে একটি মাত্র উইকেট পান মাশরাফি। মাশরাফি ছাড়া কোন বোলারই ভালো বল করতে পারেনি। ভারতের হয়ে ভূবেনশ্বর, বুবরাহ ও কেদার যাদব দুটি করে উইকেট নেন। রবীন্দ্র জাদেজা একটি উইকেট নেন।
আগামী ১৮ জুন ফাইনালে ওভালে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। তবে গ্রুপ পর্বেও একবার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারত ১২৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। গ্রুফ পর্বে ভারতের কাছে হারার পর যেভাবে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাতে করে এবার ফাইনালে আর সহজ হবে না ভারতের জন্য। বলা বাহুল্য, ফাইনালে আবারও সেই উত্তেজনাপূর্ণ পাক-ভারত লড়াই।