Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জটিল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য সংকট

gccকাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের জেরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর সঙ্গে দোহার উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এর মাঝেই বুধবার উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) থেকে কাতারের সদস্যপদ বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্তত তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমন্বয়ে ১৯৮১ সালে জিসিসি গঠন করা হয়। গত মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের পর মধ্যপ্রাচ্য সংকট ঘনীভূত হতে থাকায় বাহরাইন, সৌদি অারব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কাতারকে জিসিসি থেকে বহিষ্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

chardike-ad

বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ বিন আহমাদ আল খলিফা ও আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাসসহ জিসিসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলছেন, সংকট নিরসনের কোনো উদ্যোগ কাতারের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জিসিসির সদস্যপদ হারানোসহ আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে কাতারের ওপর।

জিসিসির আইন অনুযায়ী, সদস্যভুক্ত কোনো রাষ্ট্র চাইলে অন্য রাষ্ট্রের সদস্যপদ বাতিলের আহ্বান জানাতে পারে। এই আহ্বানে সাড়া দিতে জিসিসির সুপ্রিম কাউন্সিলে বিশেষ অধিবেশনে ওই রাষ্ট্রের সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে আলোচনা হবে। আহ্বান জানানোর পাঁচদিনের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ছয় সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে চার সদস্য রাষ্ট্রকে উপস্থিত থাকতে হবে।

এদিকে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনায় বসছে। বুধবার সৌদি আরবের দৈনিক মক্কা এক প্রতিবেদনে বলছে, কাতারের ঘটনায় জিসিসির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। কাতার বিতর্কে সরাসরি জড়িত না থাকায় কুয়েত অথবা ওমান বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারে।

গত ৫ জুন সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলো উপসাগরীয় প্রতিবেশী কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। এর জেরে গত দশকের মধ্যে নজিরবিহীন কূটনৈতিক সংকট দেখা দেয় উপসাগরীয় অঞ্চলে। কাতারে বিরুদ্ধে চরমপন্থা সমর্থন ও সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ আনা হয়। তবে কাতার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

এদিকে সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশগুলো সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ১৩ দফা শর্ত দিয়েছে কাতারকে। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও ইরান ঘনিষ্ঠতার অভিযোগসহ ওই ১৩ শর্তের জবাবের জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। রোববার সেই সময় শেষ হওয়ার পর কাতারের অবস্থান জানাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সম্পর্কচ্ছেদকারী দেশগুলো দোহাকে আরও ৪৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত সময় দেয়।

পরে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি কুয়েতে সংক্ষিপ্ত সফরে গিয়ে ১৩ শর্তের জবাব হস্তান্তর করেন। কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন চারটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে কুয়েত। বুধবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যথাসময়েই জবাব পাবে কাতার।