Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস বাংলা কমিউনিটির মিলনমেলা

eps-banglaদক্ষিণ কোরিয়ার মাল্লিপ্পো সমুদ্র সৈকতে ‘ইপিএস বাংলা কমিউনিটি’র আয়োজনে ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় ২ জুলাই রোববার দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ মিলনমেলায় অংশ নেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৯টি বিলাসবহুল বাস যোগে প্রায় ৪৫০ জন কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১১টায় প্রবাসীদের বহনকারী বাসগুলো প্রথমে মোংসানপো সমুদ্র সৈকতে থামে। সেখান থেকে মাল্লিপ্পো সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে দুপুর ১২টায়। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

chardike-ad

eps-banglaসকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে আনন্দ-উল্লসিত মনে বাসে চেপে বসেন প্রবাসীরা। বাসের ভেতর হই–হুল্লোড় আর গান বাজনা করতে করতে বেলা ১১টায় বাস পৌঁছে আরেক উপকূলীয় মনোরম সমুদ্র সৈকত মোংসানপো সমুদ্র সৈকতে। মোংসানপোতে ত্রিশ মিনিটের যাত্রা বিরতির পরেই সব বাসগুলো একসঙ্গে ক্রমানুসারে মাল্লিফো সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশে রওনা দেয়।

দুপুর ১২টায় মাল্লিপ্পো সমুদ্র সৈকতে পৌঁছানোর পরপরই সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে সবাই জমায়েত হন জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য। সম্মিলিত কণ্ঠে সমুদ্রের বুক কেঁপে ওঠে বাংলার জাতীয় সংগীতে। তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনে হচ্ছিল এ যেন ছোট্ট এক টুকরো বাংলাদেশ। প্রবাসে এত লোকের সমবেত কণ্ঠে গলা ফাটিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়া গৌরবের ব্যাপার। কেননা জাতীয় সংগীতে একটি জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা ও গৌরবের প্রতিফলন ঘটে। এর প্রতিটি লাইনে বাংলার মধুরতা, মা ও মাতৃভূমির যে দৃশ্যায়ন আর মমত্ববোধ বর্ণিত হয়েছে, তা প্রতিনিয়ত প্রবাসীদের দেশের প্রতি ভালোবাসা অসীম করে তোলে।

eps-banglaদুপুরের খাবারের পরপরই প্রবাসী বাংলাদেশিরা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গ্রুপ করে নেমে পড়েন সমুদ্রের লোনাজলে। কেউ আবার ছবি তোলাতেও ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ আপন মনে ঘুরতেও ব্যস্ত ছিলেন। সব মিলিয়ে সমুদ্রের ঢেউ আর কোলাহল আকাশ পেয়ে সবাই হারিয়ে যান স্বপ্নের বাংলায়। ইপিএস বাংলা কমিউনিটির আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলা, বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ফুটবল ম্যাচ, মোরগ যুদ্ধ, গোলক নিক্ষেপ, বেলুন বাঁচানো প্রতিযোগিতা, বিস্কুট প্রতিযোগিতা ও কুইজ প্রতিযোগিতাসহ র‍্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা ছিল। দিন শেষে প্রত্যেক ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

eps-banglaইপিএস বাংলা কমিউনিটির এই মিলনমেলায় যোগ দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান, বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব রুহুল আমিন ও দূতাবাস পরিবারের সদস্যরা।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জুলফিকার রহমান বলেন, এতজন বাংলাদেশিকে কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একটি স্থানে নিয়ে আসা দুঃসাহসিক কাজ। আর সেই দুঃসাহসিক কাজটি প্রতিবারই করে দেখাচ্ছে ইপিএস বাংলা কমিউনিটি। এ জন্য আমি আমার ও দূতাবাসের পক্ষ থেকে ইপিএস বাংলা কমিউনিটিকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

eps-banglaমিলনমেলায় কোরিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিদের চোখে মুখে ব্যাপক আনন্দ দেখা গেছে। পরিবার বঞ্চিত প্রবাসীদের নির্মল বিনোদন আয়োজনে সবার আন্তরিকতারও কোনো ঘাটতি ছিল না। অনেক দিন স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে মন মাতানো ও চোখ ধাঁধানো দিনটি। প্রথম আলোর সৌজন্যে