Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাতারের সঙ্গে সৌদি জোটের গোপন চুক্তি ফাঁস

Qatarকাতার সংকটের নেপথ্যে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের কয়েকটি গোপন চুক্তি বলে জানা গেছে। মিসর ও ইয়েমেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বিরোধী দল ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন না করার ব্যাপারে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশগুলোর সঙ্গে কাতার ওই চুক্তিগুলো সম্পাদন করে। চুক্তিগুলো মেনে না চলার কারণেই সন্ত্রাসবাদে মদদ ও উপসাগরীয় দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে গত মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিকসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদির নেতৃত্বাধীন নয়টি দেশ।

সিএনএন মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানায়, উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের বেশ কয়েকটি চুক্তি রয়েছে। কিন্তু ইস্যুগুলো স্পর্শকাতর হওয়ায় চুক্তির দলিলপত্র ও বিষয়াবলী গোপন রাখা হয়। এর আসল কারণ হচ্ছে, চুক্তিগুলো উপসাগরীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সম্পাদিত হয়। এ ধরনের দুটি চুক্তির নথিপত্র সিএনএন হাতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

chardike-ad

সিএনএন উল্লিখিত দুটি চুক্তির প্রথমটি হয় ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর। সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ, কাতার ও কুয়েতি আমীরের মধ্যে সেই চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এ চুক্তিতে উপসাগরীয় দেশগুলোর পারস্পরিক অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়। এ ছাড়া কোনো বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আর্থিক এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার কথাও বলা হয়। ‘রিয়াদ চুক্তি’ নামে পরিচিত ওই চুক্তিটিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলতে মূলত মুসলিম ব্রাদারহুডের কথা বলা হয়। কাতারকে একঘরে করার পেছনের অন্যতম কারণ এ সংগঠনটিকে সমর্থন। চুক্তিতে আরও বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অত্র অঞ্চলে বৈরী অবস্থা সৃষ্টিকারী কোনো গণমাধ্যমকে সমর্থন করবে না। চুক্তিতে মূলত কাতার সরকারের আর্থিক সাহায্যে পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরার কথা বলা হয়।

‘টপ সিক্রেট’ শিরোনামে দ্বিতীয় চুক্তিটি সম্পাদিত হয় ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর। বাহরাইনের বাদশা, আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে চুক্তিটি সম্পাদিত হয়। এ চুক্তিতে মিসরের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখার অঙ্গীকার করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া মিসরে সরকারবিরোধীদের সমর্থন দেয়া থেকে আলজাজিরাকে বিরত রাখার কথাও বলা হয়। সিএনএনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিভিন্ন সময়ে কাতারের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ আনে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলো। এসব অভিযোগের জেরেই গত মাসে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে সৌদি জোট। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কাতারকে ১৩টি শর্ত দেয় তারা। তবে ওই শর্তগুলো ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে কাতার।