Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাতার সংকট: ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি

bangladeshi-workerসৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে আকাশ, সমুদ্র ও স্থলবন্দর বন্ধ করে দেয়। মাত্র ১৪ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কাতারি নাগরিকদের দেশগুলো থেকে ফিরে যাওয়ার এবং একই সময়ের মধ্যে কাতার থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।

এখন পর্যন্ত নয়টি দেশ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এতে করে চরম সংকটে পড়েছে কাতার। বিপাকে পড়েছেন এসব দেশের বহু মানুষ। চাকরি হারিয়েছেন অনেকে।

chardike-ad

সৌদি আরব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাতারের নির্মাণখাত। নির্মাণ সামগ্রী অামদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কাজ স্থগিত করে দিয়েছে। ফলে বেকার হয়ে গেছে বহু শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি শ্রমিক।

দোহার নির্মাণশিল্পে কর্মরত বিদেশি ব্যবসায়ী আসরার জানান, ইতোমধ্যেই সাধারণ লোকজনসহ তিন লাখের বেশি শ্রমিক কাতার ত্যাগ করেছেন। এখনও সেই পরিস্থিতি চলমান রয়েছে। অবরোধের কারণে বেশিরভাগ কোম্পানি নির্মাণ সামগ্রী স্বল্পতার কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে ছোট ছোট কোম্পানি তাদের শ্রমিকদের ছুটিতে কিংবা ভিসা বাতিল করে এককালীন দেশে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হবে।

কাতারের নির্মাণশিল্পে কর্মরত ২১ বছর বয়সী বাংলাদেশি শ্রমিক সৌরভ আহম্মেদ বলেন, আগে বছরে একমাস ছুটি থাকলেও কাজ কমে যাওয়ায় ছুটি বাড়িয়ে পাঁচমাস করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দোহায় চাকরি খুঁজে পেতে একজনকে চার হাজার ডলার পর্যন্ত ফি দিতে হয়। কিন্তু তাতে যদি কোনো লাভই না হয়, টাকা উপার্জন না করা যায়, তাতে কী লাভ?

বিদেশি শ্রমিকদের এখন খাবার সংকটের চিন্তা পেয়ে বসেছে। বিদেশি শ্রমিকরা পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতিমাসে কমবেশি একশ ৬০ ডলার পেয়ে থাকেন। খাবারের দাম ১০ শতাংশ বাড়লেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা সর্বোচ্চ ৫৪ ডলার ব্যয় করার ক্ষমতা রাখেন। তার বেশি হলে সমস্যায় পড়ার কথা বলছেন কাতারে বিদেশি শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের প্রধান ভানি স্বরস্বতী। অথচ কাজ কমে যাওয়ায় শ্রমিকদের উপার্জন কমে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।