চীন নিয়ে আর খুঁচিয়ে ঘা করার প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেইজিংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের দৌত্যের মাধ্যমে ডোকলাম সঙ্কটের সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা শুরু করেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সতীর্থ, সেনাপ্রধান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মুখে কুলুপ আঁটতে নির্দেশ দিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কটমোচনের যে চেষ্টা শুরু হয়েছে তা যেন ভণ্ডুল না হয়ে যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিচ্ছে বিদেশ মন্ত্রণালয়ও।
কূটনৈতিক সূত্রের ব্যাখ্যা, এর আগে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত অথবা প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির চীন-বিরোধী গর্জনে পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়েছে। ক্রমশ অনমনীয় হয়েছে চীনের মনোভাব।
চীনা সরকারি মুখপত্রের মাধ্যমে প্রায় প্রতি দিন ভারতকে নিশানা করা হয়েছে তীব্র ভাবে। আপাতত অজিত ডোভালকে পাঠিয়ে বরফ গলানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্রিকস-এর শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে চীন যাওয়ার কথা। তার আগে ডোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত একটি যৌথ প্রস্তাব যাতে তৈরি করা যায় তার জন্য চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।
অন্য দিকে চীনের পক্ষ থেকেও যুদ্ধের জিগির কমিয়ে সুর কিছুটা নরম করার বার্তা পাওয়া গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, এই সময়ে কোনোভাবেই যেন ঘৃতাহুতি না দেয়া হয়।