টানা বৃষ্টি ও উজানে পানিতে সৃষ্ট বন্যায় ২১ জেলার ৩২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিবের চলতি দায়িত্বে থাকা মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, এ বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের তিনি এসব তথ্য জানান।
গোলাম মোস্তফা জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২১৭ হেক্টর। এছাড়া প্রায় ৭ লাখ ৫২ হাজার পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১ হাজার ৫৯৯টি। এসব কেন্দ্রে ৪ লাখ ১১ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি জানান, বন্যা মোকাবিলায় তাঁদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ। আর ১৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তর অঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি ব্রহ্মপুত্র নদীর উজানের অংশে (কুড়িগ্রাম, রংপুর) উন্নতি হয়েছে। তবে জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জে পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। এই বন্যা দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে।
গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের ৫টি নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার থেকে ১৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।