Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিরিজ জেতার উপায় জানালেন তামিম

tamimব্যাটসম্যানরা যতই ভালো খেলুক না কেন টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতেই হবে। তাই বোলারদের কাজটা টেস্ট ম্যাচে বেশি, তাদের উপর চাপটাও বেশি।

এক বছর আগেও বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের একটা প্রশ্ন করা হতো যা এখন করা হয় না কিংবা প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশ দল কি টেস্টে ২০ উইকেট নিতে সক্ষম? বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজন একেকভাবে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু গত বছরে ইংল্যান্ডকে দুবার, শ্রীলঙ্কাকে একবার দুই ইনিংসেই অলআউট করায় মুশফিকের দলের ক্ষমতা জানতে চাওয়া হয় না। কারণ মাঠেই প্রমাণ করেছে বোলাররা।

chardike-ad

এবার অস্ট্রেলিয়ার পালা! জাতীয় দলের টেস্টের সহ-অধিনায়ক সাফ জানিয়েছেন, ফল পেতে হলে অবশ্যই বোলারদের ভূমিকা রাখতে হবে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন,‘আমাদের যদি এগিয়ে থাকতে হয় তাহলে আমাদের বোলারদের খুব ভালো বল করতে হবে। বিশেষ করে সাকিব, মুস্তাফিজ, মিরাজের। ওরাই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোলার। ওরা যদি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে তাহলে অবশ্যই আমরা এগিয়ে থাকতে পারবো।’

ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে বোলাররা দারুণ করেছিলেন। বিশেষ করে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিনাররা বড় দায়িত্ব পালন করেছিলেন যারা নেতৃত্বে ছিলেন তরুণ তুর্কী মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের অভিষেক টেস্টে ২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মিরাজ। তাইজুলও ধারাবাহিকভাবে বোলিং করে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। এছাড়া অলরাউন্ডার সাকিব ছিলেন তাদের ছায়া হয়ে। পেসারদের মধ্যেও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীতা। দুই-একটি ব্রেক থ্রু তারাও এনে দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বোলারদের পারফরম্যান্স সাফল্য পেতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। ওপেনার তামিম তাই সাফল্যর জন্য বোলারদের উপর নির্ভর।

তামিমের মতে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারানো সম্ভব। তবে এজন্য প্রতিটি সেশন, প্রতিটি বল তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ছোট-ছোট বিষয়গুলো ঠিক করলেই বড় সাফল্য আসবে বলে বিশ্বাস তামিমের। তার ভাষ্য,‘২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে হলে ছোটো ছোটো ব্যাপারগুলো ঠিকভাবে করতে হবে। প্রতিটি সেশন, প্রতিটি বল লড়াই করতে হবে। পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করতে হবে। যে দল মাঠে ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে, ওদের জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। দুটি টেস্ট ম্যাচ জয়ের চেষ্টা থাকবে। টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা এক ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় না। পাঁচ দিনের পাঁচ দিনই খেলতে হয়। সময় নিয়ে প্রতিটি মিনিট করে খেলে গিয়ে একটা ফল আসে।’