Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে ভিন্ন সুর চীনের!

rohingaমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা থেকে বাঁচতে গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ এই অভিযানকে মিয়ানমারের ‘জাতিগত নিধন’ বলে উল্লেখ করেছে। মিয়ানমার বলছে, চীন তাদের এই অভিযানকে সমর্থন দিয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হামলা চালায়। এতে প্রায় দুই ডজন মানুষ নিহত হয়।

chardike-ad

চীনের রাষ্ট্রদূত হং লিয়াংকে উদ্ধৃত করে মিয়ানমারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল নিউ লাইটে জানানো হয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গা হামলার ব্যাপারে চীনের অবস্থান পরিষ্কার। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য দেশটির। তারা চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে।

কিন্ত নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে অংশ নিয়ে চীন ভিন্ন সুরে কথা বলছে। মিয়ানমারের চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এটি বন্ধে ব্যব্স্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছে চীন।

মিয়ানমার দীর্ঘ ৫০ বছরের কঠোর সামরিক শাসন এবং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে ২০১১ সালে বেরিয়ে আসে। এরপর দেশটিতে প্রভাব বিস্তার ইস্যুতে প্রতিদন্দ্বিতায় লিপ্ত হয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র।

এ সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার আহবান জানান। গত বছর দেশটির স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি। সম্প্রতি রাখাইনে সহিংসতা ও রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগে বাধ্য হওয়ার ঘটনা তাকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

এ ইস্যুতে দীর্ঘদিন নিরব থাকার পর তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি ওঠে। এই চাপের প্রেক্ষিতে আগামী মঙ্গলবার নিরবতা ভাঙ্গতে যাচ্ছে সু চি।