Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অনন্ত জলিলের পোশাক দেখে হতভম্ব বিদেশি ক্রেতারা!

ananta-jalilচিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলের পোশাক দেখে হতভম্ব হয়ে গেছেন বিদেশি ক্রেতারা! একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে অনন্ত জলিল যে সমস্ত বিদেশি ক্রেতাদের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রেখে আসছেন তারা এই প্রথম হতভম্ব হলেন অনন্ত জলিলকে দেখে।

নিজের পরা পোশাক দেখে বিদেশিদের হতভম্ব হওয়ার খবর অনন্ত জলিল তার ফেইসবুক পোস্টে শেয়ার করেছেন সবার সাথে। অনন্ত জলিল তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করবো। ব্যবসায়িক কাজে আমাকে বিদেশি বায়ারদের সাথে অধিকাংশ সময়ই মিটিং করতে হয়। ’

chardike-ad

‘তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমার ফ্যাক্টরিতে বিদেশি বায়ারদের সাথে একটি মিটিং ছিলো। যথারীতি আমি মিটিং এ উপস্থিত হই। কিন্তু যেই বায়ারদের সাথে আমি দীর্ঘ পনের বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি, তারা এই প্রথম আমাকে দেখো হতভম্ব হয়ে গেল। কারণ একটাই, আমার পোশাক।’

‘তারা আমার পোশাকের বেশ প্রশংসা করে বলেন, এই পোশাকেই তোমাকে বেশ ভালো লাগছে। সাথে জানতেও চেয়েছেন এই ড্রেসটা কেন পরেছি। তখন আমি তাদেরকে বুঝিয়ে বলি, যেহেতু আমি মুসলমান আর এটা আমাদের সুন্নতি ড্রেস। এ কথা শুনে বিদেশি বায়ারগন আমাকে আবারও এপ্রিশিয়েট করেন।’

‘তখন তারা বলে উঠেন, ওয়াও.. যদি এটা ইসলামি ড্রেস হয়ে থাকে, তাহলে কেন বাংলাদেশের সকলে এ ড্রেস পরে না? আর যেহেতু বাংলাদেশ ইসলামি কান্ট্রি। তাদের এ প্রশ্নের উত্তরে আমি বলি, বাংলাদেশে এ ড্রেস পরে না এমন নয়, হয়তো সবাই পরে না এটা সঠিক। কিন্তু যারা ইসলামি বিষয়ে পড়াশোনা করে, যখন নামাজ পড়তে যায় তখন ইসলামি ড্রেস পরেন, কেউ কেউ আবার শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়তে ড্রেসটি পরে থাকেন।’

‘তাদেরকে এ বিষয় বলার পর আমার একটা আশার কথা বলি যে, এখন হয়তো অল্প সংখ্যক মানুষ আমার মতো এই ড্রেস পরেন, তবে একটা সময় আসবে যখন দেখবো বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের গায়েই ইসলামি পোশাক। আর এ যাত্রার শুরুটাই করবে যুব সমাজ।’