কেক ব্যবসার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক বাংলাদেশি খুন হয়েছেন, এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অপর দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির সিলেনগর অঙ্গরাজ্যের শাহ আলম জেলার কুয়ালা লাঙ্গাতের একটি নর্দমা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে জেলা পুলিশ।
শাহ আলম জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার শাফিন মামতের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার পত্রিকাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। তবে নিহত ও গ্রেপ্তারদের তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় জানাননি পুলিশ কর্মকর্তা শাফিন।
তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনার শিকার ব্যক্তির পরিচিতিমূলক কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তবে খুব শিগগিরই তার পরিচয় পাওয়ার আশা করছি। আমরা এখনও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছি।” তিনি জানান, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে হত্যার শিকার ওই বাংলাদেশি নিখোঁজ হন।
তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর নিহত বাংলাদেশির নিয়োগদাতা স্থানীয় থানায় তার নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে জানাতে ও প্রতিবেদন দাখিল করতে গেলে খুনের বিষয়টি প্রকাশ পায়।
পুলিশ সাথে সাথে সন্দেহভাজন ও তার বাড়ির বাসিন্দাদের গ্রেপ্তার করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশির বস্তাবন্দি খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, শাহ আলম জেলার সেকশন ২৭ এর আলম মেগার একটি বাণিজ্যিক এলাকায় গত ছয় মাস ধরে পাশাপাশি দোকানে দু’জন বাংলাদেশি কেক ব্যবসা করে আসছিলেন। তাদের একজন অন্যজনের চাইতে ‘ব্যবসায় ভালো করা শুরু করলে’ তাদের মধ্যে ঈর্ষা ও আক্রোশ তৈরি হয়।
আসামিরা তাদের স্বীকারোক্তিতে জানায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘কম সফল ব্যবসায়ী’ তার প্রতিপক্ষকে ফোন করে শাহ আলম এলাকার তামান মেগার একটি ফ্ল্যাটে নিমন্ত্রণ করে।
পরে দুই বাংলাদেশি তাদের ব্যবসায়িক বৈঠকে বসলে বৈঠকের এক পর্যায়ে দু’জনের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন একজন তার প্রতিপক্ষ বাংলাদেশির মাথায় হাতুড়ি দিয়ে ‘সজোরে আঘাত করলে’ ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর রুমমেটদের সাহায্য নিয়ে লাশটিকে টুকরো করে ফ্ল্যাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কুয়ালা লাঙ্গাতের একটি নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটিকে স্থানীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী খুনের ঘটনা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে বলে শাহ আলম জেলা পুলিশ জানায়।