বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ২৫৪ রানের বিশাল ব্যাবধানে জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ের ফলে টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত করল স্বাগতিকরা।
এর আগে, গত শুক্রবার টস জিতে প্রোটিয়াদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৭৩ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রোটিয়াদের ঝড়ো বোলিংয়ে বাংলাদেশে ব্যাটসম্যানরা দিশে হারা হয়ে পড়ে। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৭ রানেই গুরিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে প্রোটিয়াদের থেকে ৪২৬ রানে পিছিয়ে থাকে টাইগাররা।
এরপর ৪২৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনেই ফলোঅনে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার দলীয় ৭ রান সংগ্রহ করার পড়ই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।ফলে তৃতীয় দিনে আবারও ইমরুল ও সৌম্য ব্যাটিংয়ে নামেন।
তবে তৃতীয় দিনের শুরুতে সৌম্যর মাত্র ৩ রানের মাথায় ফেরার পর সেই রাবাদার বলেই সাজঘরে ফিরলেন মুমিনুল হক। মহারাজের তালুবন্দি হয়ে দলীয় ২৯ রানের মাথায় ফেরেন মুমিনুল।
সৌম্য ফেরার পর ইমরুলের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মুমিনুল হক। কিন্তু নিজের ১১ রানের মাথায় মুমিনুল হকও সেই রাবাদার শিকার হয়ে ফেরেন।
মুমিনুল ফেরার পর ইমরুলের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে দলীয় ৬৩ রান এবং নিজের ৩২ রানের মাথায় ওলিভারের বলে ডি ককের হাতে ধরা পড়েন ইমরুল কায়েস।
ইমরুল ফেরার পর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ। এর কিছু সময় পরেই দলীয় ৯২ আর ব্যক্তিগত ২৬ রানের মাথায় পামেলের এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন টাইগার দলপতি।
মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ দেন লিটন দাস। তবে মাহমুদউল্লাহকে ক্রিজে রেখেই নিজের ১৮ রান এবং দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় পেহলুকওয়ের শিকার হয়ে ফেরেন লিটন দাস।
এরপর ক্রিজে আসেন সাব্বির রহমান। তবে সাব্বির রহমানের সঙ্গে বেশি সময় ক্রিজে থাকাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। দলের ১৩৯ রান এবং ব্যক্তিগত ৪৩ রানে রাবাদার বলে এলগারের হাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর সাব্বির রহমানের সঙ্গে যোগ দেন তাইজুল ইসলাম। তবে এরপরেই পেহলুকওয়ের বলে ডু প্লেসিসেরে হাতে ধরা পড়েন সাব্বির রহমান। নিজের ৪ রানের মাথায় আউট হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর ক্রিজে যোগ দেন রুবেল হোসেন। কিন্তু রুবেলকে হতাশ করে ব্যক্তিগত ২ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন তাইজুল ইসলাম। তাকে বোল্ড করে ফেরান কাগিসো রাবাদা। দলীয় সংগ্রহ তখন ১৪৫ রান।
তাইজুল ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন শুভাশিস রায়।তবে শুভাশিসের সঙ্গে রুবেলের বেশি সময় থাকা হয়নি। নিজের ৭ রান এবং দলীয় ১৫৬ রানের মাথায় সেই রাবাদার বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন রুবেল।
রুবেল ৭ রানে ফেরার পর ক্রিজে আসেন মুস্তফিজুর রহমান। কিন্তু শুভাশিসকে হতাশ করে মাত্র ৭ রানের মাথায় পেহলুকওয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুস্তাফিজ। তখন শুভাশিসের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১২ রান।
সব উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে নেমে টাইগারদের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭২ রান। ফলে ২৫৪ রানে পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ।
উল্লেখ, দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টেও ৩৩৩ রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।এরপর দ্বিতীয় টেস্টে আজকের জয় দিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল প্রোটিয়ারা।