প্রতিহিংসামূলক যৌনতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে কেউ খোলামেলা, নগ্ন বা এ ধরনের ছবিভিত্তিক উদ্দেশ্যমূলক প্রতিহিংসার শিকার হলে সে ব্যক্তিদের পক্ষে রাষ্ট্র দাঁড়াবে বলে জানা গেছে।
কারও প্রতি হিংসা, দ্বেষ বা প্রতিশোধ নেওয়ার অভিপ্রায়ে কেউ ছবি, ভিডিও বা এই ধরনের তথ্যাদি উদ্দেশ্যমূলক প্রচার করা হলে তা প্রতিহিংসামূলক যৌনতা (রিভেঞ্জ পর্ন) বলে সারাবিশ্বে আলোচিত। অনেক দেশে এই ধরনের কার্যকলাপ অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী মিচ ফিচফিল্ডের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটির এক গবেষণায় দেখে গেছে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ানদের ২০ শতাংশই ছবি ভিত্তিক প্রতিহিংসার শিকার হয়। যার একটা বড় অংশই দেশীয় তরুণী। এদের মধ্যে ৭৬ ভাগ শিকার তরুণীরা আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। এমনকি তারা জানেনও না আসলে এমতাবস্থায় তাদের কি করা উচিত।
ফিচফিল্ড বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার এই ধরনের ছবি বা প্রমাণাদি ফাঁসকারী অপরাধমূলক ওয়েব সাইটের বা অনলাইন পোর্টালের উপর জরিমানা ধার্যের কথা ভাবছে। ইতোমধ্যেই দেশটির ৩টি রাষ্ট্র ও অঞ্চল এবং টেলিকমিউনিকেশন আইনগুলিতেও এই ধরনের আইনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট আইন করা হয়েছে। এগুলো অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ধরনের প্রতিহিংসামূলক যৌনতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্য, যুক্তরাজ্য,কানাডা, নিউজিল্যান্ড, জাপানের মতো দেশগুলোতে অবৈধ ও শাস্তিমূলক।