Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তানভিরের ব্যাটে বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়

bangladesh-a-teamআয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। তবে তানভির হায়দারের অসাধারণ হাফসেঞ্চুরিতে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৮.১ ওভারে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১৪ রানে ৬ এবং ১৫৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তানভিদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নাটকীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এই জয়ের ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিযে গেল টাইগাররা।

chardike-ad

৬ নম্বরে নেমে ৯১ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তানভির। তার সঙ্গে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়া আবুল হাসান ২১ বলে করেন ১০ রান। এছাড়া সাদমান ইসলাম ২৪ ও অধিনায়ক শান্ত করেন ৪৪ রান। শেষদিকে ১৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন সানজামুল ইসলাম।

আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে জ্যাকব মোল্ডার তিনটি এবং জর্জ ডকরিল নেন দুটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সিমি সিং ও নাথান স্মিথ।

লক্ষ্য ১৯৬; খুব একটা বেশি নয়। ৩ উইকেটে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সংগ্রহ ১০০ পেরিয়ে যাওয়ার পরই ছন্দপতন ঘটে টাইগারদের ইনিংসে। ১০২ থেকে ১১৪- এই ১২ রানের ব্যবধানে একে একে ফিরে যান নাদীফ চৌধুরী (১০), শান্ত ও নুরুল হাসান (১)।

১১৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কার মুখে থাকা বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত করে সানজামুল ও তানভিরের মধ্যকার ৪২ রানের জুটি। দলীয় ১৫৬ রানের মাথায় সানজামুল ফিরে যাওয়ার পর আবুল হাসানকে নিয়ে ৫০ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তানভির।

এর আগে সানজামুল ও আবুল হাসেরন বোলিং তোপে পড়ে ২০০ রানের আগেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল। সফরকারীদের হয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিমি সিং সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। এছাড়া স্টুয়ার্ট পয়েন্টার ২৫, ডকরিল ১৮, থমপসন ১৬ এবং জেমস শ্যানন ও জন অ্যান্ডারসন সমান ২৭ রানের ইনিংস খেলেন।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে সানজামুল চারটি এবং আবুল হাসান নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার, তানভির হায়দার ও আল-আমিন।