Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

cake-festival‘নবান্নের উৎসবে, চলো মাতি একসাথে’ স্লোগানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি সাংস্কৃতিক সংগঠন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, অঙ্গন, প্রথম আলো বন্ধুসভা চবি ও লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পিঠা উৎসবে প্রতিটি সংগঠন আলাদা স্টলে তাদের সদস্যদের তৈরি পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে। প্রতিটি সংগঠনই ১৫-২০ ধরনের পিঠা উৎসবে প্রদর্শন ও স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে।

chardike-ad

এদিকে পিঠা উৎসবকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে। পিঠা উৎসব দেখতে আসা ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদা আক্তার ইমু বলেন, ‘পিঠা উৎসবে এসে অনেক ভালো লাগলো। এখানে এমন অনেক পিঠা দেখলাম যার নামই আগে শুনিনি।’

সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্না বলেন, ‘শীতের সময়ে গ্রামে পিঠা পুলির ধুম পড়লেও ক্লাস-পরীক্ষার কারণে অধিকাংশ সময়ই ক্যাম্পাসে থাকতে হয়। আর বঞ্চিত হতে হয় মায়ের হাতে তৈরি মুখরোচক পিঠা খাওয়া থেকে। তবে এবার এই উৎসব থেকে পিঠা খেয়ে মায়ের হাতের পিঠা না খাওয়ার অভাব অনেকটাই পুষিয়ে নিয়েছি।’

পিঠা উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠন অঙ্গনে’র সাধারণ সম্পাদক সানজিদা হান্নান বলেন, ‘পিঠা উৎসব আমাদের গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এই উৎসব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। পিঠা উৎসবে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসে পিঠা দেখছে, কিনছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চের সভাপতি রিয়াজুল কবির বলেন, ‘পিঠা উৎসবে আমাদের সংগঠনের স্টলে প্রায় ১৯ ধরনের পিঠা আনা হয়েছে। সব পিঠাই দুপুর একটার আগে বিক্রি হয়ে গেছে।’

পিঠা বিক্রি ও প্রদর্শনী শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।