Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রংপুরের বিপক্ষে কুমিল্লার সহজ জয়

comilla-bplচট্টগ্রাম থেকে জয় নিয়ে ঢাকায় ফেরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকায়ও জয় অব্যাহত রয়েছে বিপিএলের তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়নদের। শনিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্সকে। তবে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতেছে তামিমের কুমিল্লা।

টস জিতে রংপুরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে তাদের মাত্র ৯৭ রানে আটকে রাখে কুমিল্লা। জবাবে ৯৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় কুমিল্লা। মাত্র ৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত হয় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দলটির।

chardike-ad

১০ ম্যাচে এটি কুমিল্লার অষ্টম জয়। ২টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা কুমিল্লার এলিমিনেটর রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত। শীর্ষ দুইয়ে থাকলে এলিমিনেটর রাউন্ডে হারলেও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার খেলতে পারবে দলটি।

কঠিন করে ম্যাচ জিতলেও এক পর্যায়ে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম ছিল কুমিল্লার। শেষ ১২ বলে ১০ রান প্রয়োজন ছিল। প্রথম চার বলে দুই ডট খেলে স্যামুয়েলস ও সাইফউদ্দিন নিজেদের ওপর নিয়ে আসেন। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মিড উইকেট দিয়ে মাশরাফিকে তুলে মারতে গিয়ে অপুর হাতে সাইফউদ্দিন ক্যাচ দিলে আরো চাপে পড়ে কুমিল্লা। ব্যবধান দাঁড়ায় ৭ বলে ৮ রান। রংপুর শিবিরে তখন খানিকটা জয়ের সম্ভাবনা উকিঁ দিচ্ছিল। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে এগিয়ে থেকেও কুমিল্লা শিবিরে চিন্তার ভাঁজ।

আটে নামা হাসান আলী পরের বলেই ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন। মাশরাফির স্লোয়ার দারুণভাবে পিক করে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে পাঠান বাউন্ডারিতে। তাতেই জয় হাতের মুঠোয় এসে যায় কুমিল্লার। পরের ওভারে তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মারলন স্যামুয়েলস (১৬*)।

এর আগে তামিমের ২২ রানে শুরুটা ভালো করে কুমিল্লা। পরবর্তীতে নাজমুল ইসলাম অপু ও মাশরাফির বোলিংয়ে ছন্নছড়া হয়ে যায় কুমিল্লার মিডল অর্ডার। মাশরাফি ৩টি এবং অপু নেন ২টি উইকেট।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে স্পিনার মেহেদী হাসানের তোপে পড়ে কুমিল্লা। ডানহাতি এ স্পিনার প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন ক্রিস গেইল (০) ও জিয়াউর রহমানকে (৬)। পরবর্তীতে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (২৪) ও নাহিদুলের (৭) উইকেট নেন। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন এ স্পিনার।

এ ছাড়া পেসার সাইফউদ্দিন পকেটে পুরেছেন ৩ উইকেট। ম্যাককালাম ও মিথুন বাদে রংপুরের হয়ে কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।

দশম ম্যাচে এটি রংপুরের পঞ্চম হার। লিগে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে তাদের। শেষ চারে যেতে হলে শেষ দুটি ম্যাচে জয় পেতেই হবে দলটিকে।