দর্শকদের ‘পয়সা উসুল’ বলতে যা বোঝায়, তাই হল আজ। পুরো আসর জুড়ে তেমন একটা ভাল করতে না পারলেও এলিমিনেটর ম্যাচে এসে সেঞ্চুরিই করে বসলেন ক্যারিবিয় দানব ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। তার এই সেঞ্চুরির উপর ভর দিয়ে ২৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় রংপুর রাইডার্স। আর এই জয়ের ফলে খুলনা টাইটান্সকে এবারের আসর থেকে বিদায় করে দিলেন গেইল একাই।
১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে গেইলের হার না মানা ১২৬ রানের দানবীয় ইনিংসে উপর ভর করে ১৫.২ ওভারে ১৭১ রান করে জয় তুলে নেয় রংপুর রাইডার্স।
ক্রিস গেইল আজ প্রথম থেকে মারমুখী ছিলেন। ছয় আর চারের ফুলঝুড়ি ছোটাতে থাকেন তিনি। তার সামনে খুলনার বোলারদের অসহায় লাগছিল। ৪৫ বলে তুলে নেনে বিপিএল ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। আর এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি। এবারের আসরের এখন পর্যন্ত আর কোন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির দেখা পাননি।
গেইলের হার না মানা ১২৬ রানের ইনিংসটি খেলতে খরচ করেন ৫১টি বল। ইনিংসটিতে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ১৪টি ওভারবাউন্ডারির মার! গেইলকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন। তিনি করেন ৩৬ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেন।
এর আগে শুরুতে ক্রিস গেইলের সাথে ওপেন করতে এসেছিল সোহাগ গাজী। ধারণা ছিল হয়তো গেইলের ব্যাটিংয়ের কিছু প্রভাব পরবে তার উপর। কিন্তু হল উল্টো ৪ বল খেলে মাত্র ১ রানেই সাজঘরে ফেরেন সোহাগ গাজী। এদিন ব্যর্থ হন আরেক হার্ডহিটার ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম। দুই বল খেলে কোন রান না করেই সাজঘরে ফেরেন এই কিউই ব্যাটসম্যান।
খুলনা টাইটান্সের বোলারদের মধে জফরা আর্চার এক ওভারে সোহাগ গাজী ও ম্যাককালামকে ফেরান। এটাই ছিল খুলনার বোলারদের সাফল্য। আর কোন বোলারই উইকেটের দেখা পাননি। উল্টো মাথা নত করে হজম করেছেন গেইলের ছয়-চার।