Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নিজেই চলতে পারি না, দেশে টাকা পাঠাব ক্যামনে?

us labourনিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিরা আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করতে পারছেন না। চাকরি ও ব্যবসা করে ভালো রোজগার করলেও অধিকাংশ বাংলাদেশিকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশিদের কাছে নিউইয়র্ক প্রবাস জীবন তিক্ত হয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজেই চলতে পারি না, বাড়িতে টাকা পাঠাব ক্যামনে? কিছু পরিবারের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অভাবে থাকার পরও তারা কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মূলধারার চাকরির প্রতি জোর দেয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও কমিউনিটি নেতারা।

chardike-ad

কাওসার প্রবাস জীবন নিয়ে বলেন, ‘স্ত্রী, দুই কন্যা এবং বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকি। প্রাইভেট বাসায় দুই বেডরুমের ভাড়া ১ হাজার ৮০০ ডলার। রাত-দিন কাজ করলে কোনো মাসে ৩ হাজার কোনো মাসে ২ হাজার ৭০০ ডলার রোজগার হয় । এভাবে কাজ করার পরও কোনোভাবে সঞ্চয় করা যায় না। দেশে ছোট তিন ভাইয়ের জন্য নিয়মিত টাকা পাঠাতাম। গেল কয়েক মাস ধরে তা-ও পারছি না, কারণ নিজেদেরই চলতে কষ্ট হচ্ছে।’

সুরুজ আলী জানান, এখানে জিনিসপত্রের দাম খুব বেশি। শখের জিনিস কেনা তো দূরের কথা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। মাছ, মাংস, তরিতরকারি সবই পাওয়া যায়। তবে দাম বেশি। তাছাড়া এখানে হোটেলে ঢুকলে মোটা অঙ্কের ডলার পকেটে রাখতে হয়। বড় শখ করে এসেছিলাম। শখ এখন কষ্টে পরিণত হয়েছে।

জোনায়েদ হোসেন কাজ করেন নিউইয়র্কের একটি খাবারের হোটেলে। ট্রেনে আসা-যাওয়া এবং কর্মঘণ্টা মিলে প্রতিদিন কাজ করেন ১৫ ঘণ্টা। সপ্তাহ শেষে পান ৪৫০ ডলার। সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়া দেন ৮০০ ডলার। তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে অভাব ছাড়ছে না। কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করছি কিন্তু অন্য কোথাও কাজ পাচ্ছি না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রবাসী জীবনযাপন বর্তমানে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। পৃথিবীর বেশকিছু দেশে দিন দিন টাকার মান কমে যাচ্ছে। তাছাড়া দ্রব্যমূল্যের দামও বাড়ছে। ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যার মাত্রাও বেড়ে চলেছে।