Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দর্শক পেটানোর পর, ম্যাচ রেফারিকেও হুমকি দিয়েছিলেন সাব্বির

sabbir-rahmanহঠাৎ করেই শৃঙ্খলাভঙ্গের আলোচনায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমান। এর আগেও শৃঙ্খলাভঙের কারণে বড় অংকের জরিমানার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এবার চট্টগ্রামে জাতীয় লিগের ম্যাচ চলাকালীন এক দর্শককে পিটিয়ে আলোচনায় চলে এলেন এই ক্রিকেটার। তার বিরুদ্ধে এখন শৃঙ্খলাভঙের অভিযোগ এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

এরই মধ্যে নতুন খবর হলো, দর্শক পেটানোর ঘটনার পর ম্যাচ রেফারির শুনানিতে হাজিরা দিতে গিয়েও আরেকটি কঠোর অপরাধ করেছেন সাব্বির। তেমনেই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

chardike-ad

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় জানা গেছে, জাতীয় দলের এ ক্রিকেটার সরাসরি এই ভাষায় হুমকি দিয়ে বসেন ম্যাচের কর্মকর্তাদের। তিনি নাকি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার নামে বিসিবিতে অভিযোগ করলে খবর আছে!’ ওই ম্যাচের রেফারি ছিলেন শওকাতুর রহমান। তিনি তখন পাল্টা সাব্বিরের কাছে জানতে চান, ‘কার খবর আছে?’ জবাবে সাব্বির বলেন, ‘আপনাদের সবার।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটের নানা উত্থান-পতন যাদের চোখে দেখা, যাদের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট এই পর্যায়ে উঠে এসেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে যার দীর্ঘ তিন-চার দশকের বিচরণ, সেই শওকাতুরের পক্ষে একজন তরুণ ক্রিকেটারের হুমকি-ধমকি হজম করা ছিল কঠিনই।

এ কারণেই দর্শক পেটানো এবং তাদেরকে হুমকি দেয়া- দুটি ঘটনাই নিজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। সে সঙ্গে স্থানীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাও সাব্বিরের বিরুদ্ধে খেলা চলার সময় মাঠে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। সব মিলিয়ে আবারও বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন রাজশাহীর এই ক্রিকেটার।

এর আগে বহুবার শাস্তি পেয়েছেন তিনি। মাঠের বাইরে শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনায় ২০১৬’র বিপিএলে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা গুনেছেন। জরিমানা হয়েছে বিপিএলেই আম্পায়ারকে গালমন্দ করার জন্যও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এরই মধ্যে তিনটি ‘ডিমেরিট’ পয়েন্ট পাওয়া সাব্বিরের শৃঙ্খলাভঙ্গের নতুন ঘটনাটি সদ্যসমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো ম্যাচের দ্বিতীয় দিন। দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে নামার পথে গ্যালারি থেকে এক খুদে দর্শক মজা করে তাঁকে ‘ম্যাও’ বলে ডাক দেন।

সেটি সম্ভবত তার চোখের রঙের কারণেই। খেলা চলার সময়ই পরিচিত এক লোককে দিয়ে ১০-১২ বছরের ওই ছেলেকে ডেকে আনেন সাব্বির। এরপর মাঠের দুই আম্পায়ারের অনুমতি নিয়ে বাইরে গিয়ে সাইটস্ক্রিনের পেছনে ওই কিশোরকে মারেন একাধিক থাপ্পড়ও। এ ঘটনার সঙ্গে ম্যাচ রেফারিকেও হুমকি দেওয়া যোগ হয়ে বড় শাস্তি নিশ্চিতই হয়ে গেছে সাব্বিরের।

বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির সহসভাপতি শেখ সোহেল সেই ইঙ্গিতই দিলেন, ‘শৃঙ্খলার প্রশ্নে আমরা সাকিবের মতো খেলোয়াড়কেও ছাড় দিইনি। সাব্বিরকেও কোনো ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রতিবেদন হাতে এখনো না পেলেও সাব্বিরের ঘটনাটি আমি শুনেছি। এটা তো গুরুতর অপরাধ। ’