Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রেসিডেন্ট হতে চান ইভানকা

ivanka-trumpডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে নির্বাচন করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চান। এ নিয়ে তার স্বামী জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে তার একটি গোপন চুক্তিও রয়েছে বলে একটি নতুন বইয়ে দাবি করা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের আগে-পরের ঘটনাবলি নিয়ে সাংবাদিক মাইকেল ওলফের লেখা ‘ফায়ার অ্যান্ড ফারি : ইনসাইড দি ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ বইয়ে এই দাবি করা হয়েছে।

chardike-ad

নির্বাচনকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার পরিবার ও সহযোগীদের নানা ঘটনা নিয়ে লেখা সাক্ষাৎকারধর্মী বইটি শিগরিগই বাজারে আসছে। বইয়ের অংশবিশেষ নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে হই চই শুরু হয়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে এরই মধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে, লেখক ওলফ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। তবে বইটি ২০০টি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রচিত হয়েছে।

ইনভানকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে মাইকেল ওলফ তার প্রকাশিতব্য বইয়ে লিখেছেন, ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ইভানকা ও জ্যারেড হোয়াইট হাউসে ভূমিকা রাখার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এই দম্পতি যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নেন, এক অর্থে, এটি তাদের যৌথ কাজও। এই দুজন তাদের নিজেদের মধ্যে একটি একান্ত চুক্তি করেন : ভবিষ্যতে যদি সুযোগ আসে, তাহলে তাদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াবেন ইভানকা। ইভানকা মজা করে বলতেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিলারি নন, হবেন ইভানকা ট্রাম্প। এই দম্পতিকে স্টিভ ব্যানন ‘জারভানকা’ নামে অভিহিত করেছিলেন এবং বর্তমানে তারা হোয়াইট হাউসে বিশাল ভূমিকা রাখছেন। তাদের মধ্যকার এই চুক্তির তথ্য জানতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ব্যানন।

মাইকেল ওলফের বইয়ে ইভানকা ট্রাম্প সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের মাথায় অস্ত্রোপচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতেন ইভানকা। জ্যারেড কুশনারের কথাও উঠে এসেছে। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ কেটি ওয়ালশ ট্রাম্পের জামাতা ও তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা কুশনারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এই প্রশাসন কী অর্জন করতে চায়? উত্তরে কিছুই বলতে পারেননি তিনি। অর্থাৎ ট্রাম্প প্রশাসন জানতোই না, তারা কী চায়।

বইটিতে আরো দাবি করা হয়েছে, মিডিয়া মোগলখ্যাত রুপার্ট মার্ডকের ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প ও মার্ডকের অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন। বইয়ে বলা হয়েছে, মার্ডক নাকি ট্রাম্পকে ‘নির্বোধ’ বলেছিলেন।

ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন নির্বাচনের সময় রাশিয়ার কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না। তিনি জানতে, নির্বাচনে জয়ী হলে পরে এ নিয়ে সমস্যা হবে।

মাইকেল ওলফ বিভিন্ন জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ট্রাম্প। তিনি প্রেসিডেন্টই হতেেই চাননি, হতে চেয়েছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত। কিন্তু নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত জয়ের পর তিনি হোয়াইট হাউস কীভাবে চালাবেন, তা নিয়েও আতঙ্কিত ছিলেন। তবে লেখকের এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্স।

তথ্যসূত্র: বিবিসি