Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লজ্জাজনক হারের পর যা বললেন কোহলি

virat
ফাইল ছবি

লজ্জাজনক হার থেকে শিক্ষা নিতে চান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ের জন্য ২০৮ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসর্মপন করে লজ্জাজনকভাবে হারের স্বাদ পায় সফরকারী ভারত। এমন লজ্জার হারে ব্যথিত কোহলি। তাই এমন হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়াতে চান ভারত দলপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে হেরেছি, এটি লজ্জাজনক। পুরো ম্যাচেই ব্যাটসম্যানরা খারাপ পারফরমেন্স করেছে। আশা করবো ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিবে এবং আমরা ঘুড়ে দাড়াতে সক্ষম হবো।’

দক্ষিণ আফ্রিকার ২৮৬ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২০৯ রান করে ভারত। তাই প্রথম ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে ৭৭ রানের লিড পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়াটা পরবর্তীতে পুষিয়ে দেয়ার পণ করেন ভারতের বোলাররা। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের তোপের মুখে ফেলেন ভুবেনশ্বর-বুমরাহ-সামি-পান্ডিয়া। তাতেই মাত্র ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ম্যাচ জয়ের জন্য ২০৮ রানের টার্গেট পায় ভারত।

chardike-ad

জয়ের জন্য পাওয়া ২০৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ভারনন ফিলান্ডারের তোপের মুখে পড়ে ভারত। পাশাপাশি অন্য দুই পেসার মরনে মরকেল ও কাগিসো রাবাদার আক্রমন তো ছিলোই। তাতে ১৩৫ রানেই অলআউট হয়ে ৭২ রানে ম্যাচ হারে টিম ইন্ডিয়া।

দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এমন লজ্জার হারে লজ্জিত ভারত অধিনায়ক কোহলি নিজেও, ‘অবশ্যই এভাবে হারাটা লজ্জার। টার্গেট খুব বেশি বড় ছিলো না। কিন্তু আমরা উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় হারের স্বাদ পেতে হয়েছে । এমন হার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তবে আমরা পরের টেস্টে ঘুড়ে দাঁড়াবো। আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো ছিলো। যথেষ্ট প্রস্তুতির অবকাশ ছিল না, বলতে চাই না। তারা ১৩০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। আর তারা সব সময় এখানে খেলছে। এটা এমন একটা উইকেট যেখানে সারাক্ষণ বোলাররা সাহায্য পাচ্ছিল। আমার মনে হয়, ব্যাটিং ব্যর্থতাই আমাদের ডুবিয়েছে।

নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকলে টেস্ট ম্যাচে জয় পাওয়া সম্ভব না। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে ৩ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে আমরা তাদের বেরিয়ে যেতে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ সকালে সেটি পুষিয়ে দিয়েছিলো বোলাররা। ২০৮ রান করা যায় বলে আমাদের বিশ্বাস ছিল। এই রান না করার কোন কারণও নেই। কিন্তু ব্যাট হাতে আমাদের ২০-৩০ করলে হবে না। এসব পরিস্থিতিতে জিততে গেলে ৭০-৮০ রানের বড় ইনিংস খেলতে হতো আমাদের।’

মিডল-অর্ডারে আজিঙ্কা রাহানে না থাকায় অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এমন সমালোচনা মানতে নারাজ কোহলি, ‘আমরা সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে প্রথম একাদশ ঠিক করেছি। শেষ তিন টেস্টেই রোহিত রান করেছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ সিরিজেও খুব ভালো ব্যাট করে সে। রোহিত-শিখর দু’জনেই রানের মধ্যে ছিল। এখন পেছন ফিরে তাকিয়ে অনেক কিছুই বলা যেতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্মের ওপর আস্থা রেখে আমরা একাদশ করেছি।’

পর্যাপ্ত সময় হাতে থাকার পরও ম্যাচের চতুর্থ দিন মাত্র দেড় সেশনেরও কম সময়ে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ভারত। শুধুমাত্র ভারতই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকাও নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিন সকালে ৬৫ রানের ব্যবধানে শেষ ৮ উইকেট হারায়। তাই চতুর্থদিন ২০০ রানের ব্যবধানে ১৮ উইকেটের পতন ঘটে। তবে এমন পীচ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্যই করলেন ভারত দলপতি কোহলি, ‘দারুণ পিচ। আমার খুবই ভাল লাগে এই ধরনের পিচ। টেস্ট ক্রিকেট এই ধরনের উইকেট অনেক বেশি উপভোগ্য। একটা গোটা দিন বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার পরেও চার দিনের মধ্যে ফয়সালা হয়ে গেল। তবে একপেশে ম্যাচ হয়েছে তা বলা যাবে না। দু’টো দলই সুযোগ তৈরি করেছিল, শেষে জয় পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। আমাদের নিজেদের ব্যর্থতাতেই ম্যাচ হারতে হলো।’

দলের ব্যাটসম্যানদের দোষারোপ করার পাশাপাশি নিজ দলের ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ভারনন ফিলান্ডারের প্রশংসা করলেন কোহলি, ‘ফিলান্ডার অন্য রকম বোলার। ডেল স্টেইন না থাকার পরেও যে ভাবে সে ও অন্যান্য বোলাররা খেললো তা প্রশংসার। বলের উপর দারুন নিয়ন্ত্রন রয়েছে তার। আমি আর রোহিত যখন ব্যাট করছিলাম, বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই ছিলাম। কিন্তু চার ওভারে আমরা চারটি উইকেট হারালাম। ওটাই পার্থক্য তৈরি করে দিল। এ ছাড়া আমাদের বোলাররাও দুর্দান্ত বোলিং করেছে।’