বিরাট কোহলির পরে ব্যাট করতে ভালো লাগে, সেটা বোধ হয় ভুলেই গিয়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। কেপটাউনের পর সেঞ্চুরিয়নেও তাই টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। প্রথম টেস্টে অবশ্য ভালো করেননি কোহলি। কিন্তু এবার আর পার পেলেন না ডু প্লেসি। দারুণ এক ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণকে শাসন করছেন ভারত অধিনায়ক। কোহলির সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩০৭ রান করেছে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ৬০ রান করে চা-বিরতিতে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দিন শুরু করেছিলেন ৮৫ রানে। সঙ্গী ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু আধ ঘণ্টাও কাটাতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। ২০৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত তখন বড় বিপদের সামনে। কিন্তু কোহলি তো ছিলেন, সঙ্গীও পেয়ে গেলেন। কদিন আগেও বিশ্বসেরা টেস্ট অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত অশ্বিন নিজের হারানো সত্তা খুঁজে পেলেন। চার-ছক্কা না মেরেও যে আক্রমণাত্মক ব্যাট করা যায়, দ্রুত তালে রান করা যায়, সেটাই দেখালেন কোহলি। উল্টো দিকে অশ্বিন অবশ্য চার মারায় কোনো আপত্তি দেখেননি। কাগিসো রাবাদাকে এক ওভারেই তিন চার মেরেছেন, সেটাও টানা!
তবে এমন চারের ঝড় বেশিক্ষণ টেকেনি। ৭ চারে ৩৮ রান করে আউট হয়ে গেছেন অশ্বিন। ততক্ষণেই অবশ্য ভারতের রান ২৮০। কারণ অন্য প্রান্তে অধিনায়ক তাঁর কাজ সেরে নিয়েছেন। মাত্র ১০টি চারেই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন কোহলি, তবু ১৪৬ বলের বেশি দরকার হয়নি ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি ছুঁতে। কোহলি শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৫ রানে করেছেন ১৫৩ রান। ক্যারিয়ারের ২১ সেঞ্চুরির মধ্যে ১১টিই পেয়েছেন ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে। এ তথ্য জানার পর ভারতকে পরে ব্যাট করানোটা আসলেই বোকামি হয়ে যায়।
এ সেঞ্চুরিতেই হাশিম আমলাকে ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্রুততম ৫৩তম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন ভারত অধিনায়কের। ৩৫৪তম ইনিংসেই ৫৩ সেঞ্চুরি কোহলির। আমলার ৫৩তম সেঞ্চুরি করতে ৩৮০ ইনিংস দরকার হয়েছিল।
আরেকটি অর্জনের দেখা পেয়েছেন কোহলি। মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন কোহলি। তাঁর আগে এ কীর্তি ছিল শুধুই শচীন টেন্ডুলকারের। কেপটাউনে টেন্ডুলকারের ১৬৯ রানের ইনিংসটা অবশ্য ব্যর্থ হয়েছিল। কোহলি কি পারবেন টেন্ডুলকারের ভাগ্য এড়াতে? উত্তর অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাটেই লেখা হবে।