Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শ্রীলঙ্কার সামনে টিকে থাকার শেষ সুযোগ

thisara-pereraত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে যে হিসাব-নিকাশ ছিল, তার বলতে গেলে অর্ধেক নিজেরাই পাল্টে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। পরপর দুই ম্যাচে তারা হেরেছে জিম্বাবুয়ে এবং স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশ এমনিতেই ছিল এই সিরিজে ফেবারিটের তালিকায়। কিন্তু তাই বলে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে লঙ্কানদের ফাইনাল খেলার হিসেব কঠিন হয়ে যাবে, তা ঘুর্ণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি হাথুরুসিংহে অ্যান্ড কোং।

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার করা ২৯০ রান তাড়া করতে নেমে ২৭৮ রান করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ম্যাচে তো বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। বাংলাদেশের করা ৩২০ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩২.২ ওভারেই মাত্র ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কা। হারলো ১৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে।

chardike-ad

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে দুইবার করে পরস্পর মুখোমুখি হবে তিনটি দল। ফিরতি লেগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রোববারই শ্রীলঙ্কা মাঠে নামছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ত্রিদেশীয় সিরিজে টিকে থাকতে হলে, লঙ্কানদের বাকি দুই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে। একই সঙ্গে জিম্বাবুয়েকে বাকি দুই ম্যাচে হারতে হবে। কোনো কারণে যদি শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ে দুই দলই বাংলাদেশের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচে জিতে যায়, তাহলে দু’দলের মধ্যে রানরেটের হিসেবটা চলে আসবে।

সুতরাং, ফাইনালে উঠতে হলে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিম্বাবুয়ের সামনেও বাকি দুই ম্যাচ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আবার রোববারের ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা আবারও হেরে যায় জিম্বাবুয়ের কাছে, তাহলে লিগ পর্বের বাকি দুই ম্যাচের দিকে তাকানোর আর প্রয়োজনই নেই, তারাই উঠে যাবে ফাইনালে। প্রথম দুই ম্যাচে দুই বোনাস পয়েন্ট সহ মোট ১০ পয়েন্ট অর্জন করায় বাংলাদেশ আগেই ফাইনালে উঠে বসে আছে। রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১২টায়।

গত বছরেও শ্রীলঙ্কা দলটি বেশ বাজে খেলেছিল। প্রচুর ক্যাচ মিস, ব্যাটিংয়ে অপরিপক্কতা, বোলিংয়ে দৈন্যদশা- লঙ্কান দলটিকে সত্যি সত্যি তলানীতে নামিয়ে এনেছে। নতুন বছরে ভালো শুরুর প্রত্যাশায় ছিল লঙ্কানরা সবাই। বিশেষ করে, নতুন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে ভালো খেলার লক্ষ্য ছিল তাদের; কিন্তু শেষ পর্যন্ত, প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পুরোপুরি তলানীতে তারা।

অথচ আট মাস আগেই এই জিম্বাবুয়ে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছিল এবং গত জুলাই থেকে তারা কোনো ওয়ানডে সিরিজ খেলছে না। কিন্তু সেই জিম্বাবুয়েই এখন চোখ রাঙাচ্ছে শ্রীলঙ্কার সামনে। দু’দলের সর্বশেষ ৬বারের মুখোমুখিতে ৪বারই জিতেছে জিম্বাবুয়ে। যার আবার তিনটিই শ্রীলঙ্কার ঘরের মাটিতে।

ব্রেন্ডন টেলরের ফিরে আসা এবং একই সঙ্গে সিকান্দার রাজার টানা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স- জিম্বাবুয়েকে সত্যি সত্যি দারুণ একটি অবস্থায় নিয়ে এসেছে। সে তুলনায় শ্রীলঙ্কা দলের কোনো ক্রিকেটারই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারছে না। জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এবং সলোমন মিরেও রয়েছেন দারুণ ফর্মে।

তবুও, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হতেই পারে। কারণ, এই ম্যাচেও স্পিন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। জিম্বাবুয়ে এমনিতেই স্পিনে দুর্বল। লঙ্কানরা ভালো। তাদের হাতে কয়েকজন ভাল স্পিনারও রয়েছে। সে হিসেবে কিছুটা এগিয়ে লঙ্কানরাই। শুধু মাঠে নেমে পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের কাবু করতে পারলেই হলো। জয় ধরা দেবে তাদের হাতে।