Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিদেশে কারখানা করছে স্কয়ার ফার্মা

square-groundবাংলাদেশে অবস্থিত ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর মধ্যে এবারই প্রথম বিদেশের মাটিতে ওষুধ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির শতভাগ মালিকাধীন সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের তত্বাবধানে নাইরবি, কেনিয়াতে এ কারখানা স্থাপিত হবে। সম্প্রতি নিজস্ব প্লান্ট তৈরির জন্য নাইরবিতে কোম্পানিটির গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠান হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রনালয়ের কেবিনেট সেক্রেটারি আদান মোহাম্মদ, কেনিয়ার বাংলাদেশের হাই কমিশনার মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বিগত ৬০ বছর ধরে দেশে ওষুধ উৎপাদন করে আসছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এছাড়া এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের ৪২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে কোম্পানিটি।

chardike-ad

স্কয়ার ফার্মা কেনিয়াতে ২০০৫ সালে সর্বপ্রথম ওষুধ রপ্তানি শুরু করে। ঐ দেশে স্কয়ার ফার্মার ১১৭টি পণ্য রেজিষ্ট্রেশন করা রয়েছে। কেনিয়ার স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো চাহিদার মাত্র ৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। বাকি ৭০ শতাংশ ওষুধ তাদের আমদানি করতে হয়। সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়ার্ল্ড ক্লাস টেকনোলজি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করতে যাচ্ছে স্কয়ার ফার্মা। আপাতত ওষুধ উৎপাদনের পেছনে স্কয়ার ফার্মা ২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে। কোম্পানিটি যে প্লান্ট স্থাপন করবে সেটি দুই বিলিয়ন ট্যাবলেট -ক্যাপসুল এবং ৬০ মিলিয়ন লিকুইড ফরমুলেশনের বোতল উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।

২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।