Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১৮৭ রানেই অলআউট ভারত

india-africaপ্রোটিয়া পেসে দিশেহারা হয়ে মাত্র ১৮৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বিরাট কোহলির ভারত। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া পেসারদের আগুনমাখানো বোলিংয়ের সামনে উড়ে গিয়েছে বলতে গেলে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। চেতেশ্বর পুজারা আর বিরাট কোহলি দুটি হাফ সেঞ্চুরি করতে না পারলে এই রানও হতো কি না সন্দেহ।

জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ভারতের রেকর্ডটা খুবই ভালো। এখনও পর্যন্ত এই মাঠে ৪টি টেস্ট খেলে একটিতেও হারেনি তারা। বরং, ২০০৬-০৭ সালে একটি টেস্ট জিতেও গিয়েছিল তারা। বাকি ৩ টেস্ট ড্র করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। এবার কী সেই রেকর্ড ধরে রাখতে পারবে বিরাট কোহলির ভারত! স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র আজই (বুধবার) ওয়ান্ডরার্স টেস্ট শুরু হয়েছে।

chardike-ad

৫জন করে পেসার নিয়ে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা কেশব মাহারাজের পরিবর্তে দলে নিয়েছে মিডিয়াম ফাস্ট আন্দিল পেহলুকাইয়োকে। ফিল্যান্ডার, রাবাদা, মরনে মর্কেল এবং লুঙ্গি এনগিদির সঙ্গে যোগ হয়েছে পেহলুকাইয়ো। অন্যদিকে ভারতীয় দলে পেসার হলেন ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ডিয়া।

যদিও আজকের শুরুটা কিন্তু ভারতের মোটেও ভালো হলো না। মাত্র ১৩ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে দারুণ বিপদে পড়ে ভারত। শুধু তাই নয়, রান তোলার গতিও তাদের অনেক কমে যায়। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে কোহলি আর চেতেশ্বর পুজারা দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৮৪ রানের জুটি।

দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। তার দেখাদেশি হাফ সেঞ্চুরি করেন চেতেশ্বর পুজারা। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে দুই ইনিংসেই রানআউট হয়ে দারুণ সমালোচিত পুজারা। তার জবাব দিতেই যেন হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিনি। কিন্তু প্রোটিয়া পেসারদের সামনে কী আর বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায়!

সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের অভিষিক্ত নায়ক লুঙ্গি এনগিদির হাতে উইকেট দিতে বাধ্য হলেন কোহলি। ডি ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫৪ রান করে ফিরে যান কোহলি। ৯৭ রানে কোহলি ফিরে যাওয়ার পর আবারও শুরু আসা-যাওয়ার মিছিল। ৫০ রান করা পুজারা আউট হন আন্দিল পেহলুকাইয়োর বলে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর মরনে মর্কেলের বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন রোহিত শর্মার পরিবর্তে মাঠে নামা আজিঙ্কা রাহানে এবং উইকেটরক্ষক পার্থিব প্যাটেল। পেহলুকাইয়োর বলে কোনো রান না করেই ফিরে যান হার্দিক পান্ডিয়া। ভারনন ফিল্যান্ডারের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ সামি।

ভুবনেশ্বর কুমার শেষ দিকে এসে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ৪৯ বল মোকাবেলায় ৩০ রান করেছেন তিনি। তবে কাগিসো রাবাদার পেসের সামনে টিকতে পারেননি তিনি।

কাগিসো রাবাদা নেন ৩ উইকেট। ফিল্যান্ডার, মর্কেল এবং আন্দিল পেহলুকাইয়ো উকেট নেন ২টি করে। ১ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি।

জাগো নিউজ এর সৌজন্যে