Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাতারে জরুরি ওষুধ সরবাহ বন্ধ রেখেছে আমিরাত

doha-qatarসৌদি জোটের অবরোধের কারণে জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন জরুরি ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ হচ্ছে না কাতারে। একটি মানবাধিকার সংস্থার তরফ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থা ইউরোমেডের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানই দীর্ঘদিন ধরে কাতারের সঙ্গে বাণিজ্য করে আসছে। কিন্তু কাতারের ওপর অবরোধ আনা চার দেশের মধ্যে আমিরাতও রয়েছে। ফলে অবরোধের পর থেকেই দেশটি থেকে কাতারে কোনো ওষুধ সরবরাহ হচ্ছে না।

chardike-ad

ইউরোমেডের মুখপাত্র সারা প্রিচেট বলেন, কাতারে প্রচুর পরিমাণে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রয়োজন। কিন্তু এসব ওষুধের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। সাপের কামড়ের প্রতিষেধকসহ বেশ কিছু জরুরি ওষুধের সংকটে রয়েছে কাতার।

সারা প্রিচেট আরও বলেন, কাতারের ওপর অবরোধ আনা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম আরব আমিরাত। তাদের এই অবরোধের কারণে চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ, বাণিজ্য এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ প্রভাব পড়েছে। কাতারের নাগরিকদের আমিরাতে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আনা হয়েছে। ফলে তারা চিকিৎসা বা অন্যান্য কারণেও আমিরাতে ভ্রমণ করতে পারছেন না।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, সৌদি আরব সফরে অনুমতি না পাওয়ায় জীবন রক্ষাকারী অপারেশন থেকেও বঞ্চিত হয়েছে কাতারের দুই শিশু। অবরোধের কারণে সারা প্রিচেট জানিয়েছে, দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে লোকজনকে বাধা দেয়া হচ্ছে।

প্রায় সাত মাস ধরে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ রয়েছে। এই অবরোধ উপসাগরীয় অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের ওপর প্রভাব ফেলছে। অবরোধ আরোপের পর কাতারের সঙ্গে স্থল, আকাশ এবং সাগরপথ বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর।

অবরোধের অংশ হিসেবে দেশগুলো ১৫ দিনের মধ্যে নিজেদের নাগরিকদের দেশে ফিরতে এবং কাতারের নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এর ফলে বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে। অবরোধের কারণে প্রায় ৬ হাজার ৫শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ এর ফলে বহু পরিবারের সদস্যরা আলাদা হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

হিউমেন রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, কাতারের ওপর এমন অবরোধের কারণে বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাদের সন্তান, স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী, অসুস্থ লোকজনের কাছ থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা বা কেয়ারটেকারদের বিচ্ছিন্ন হতে হয়েছে। যারা এই আইন অমান্য করেছে তাদের ওপর তিন থেকে ১৫ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। অবরোধের কারণে বহু কর্মীকে তাদের কর্মক্ষেত্র ছাড়তে বা অনেক ব্যবসায়ীকে তাদের আজীবন মেয়াদী ব্যবসা ছেড়েও দেশে ফিরতে বাধ্য হতে হয়েছে।