অনলাইন প্রতিবেদক, ২ নভেম্বর ২০১৩:
শ্রমিক সমস্যাসহ নানাবিধ সামাজিক সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে গেলো বছর বিশ্ববাজারে উন্নত দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়েই ব্যবসা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আন্তর্জাতিক তথ্য-উপাত্ত ও বিভিন্ন প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এসোসিয়েশন (কেআইটিএ) কর্তৃক প্রকাশিত ‘কোরিয়া মিররড ইন স্ট্যাটিস্টিকস’ নামক পরিসংখ্যান বইয়ে ২০১২ সালে কোরিয়ান বানিজ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জাতীয় উৎপাদন নির্ভর অর্থনীতিতে গত বছর দ্বাদশ অবস্থানে থেকে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ব বানিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী দেশসমূহের মধ্যে ছিল অষ্টম।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত এই বইটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে কোরিয়ার হ্যান্ডসেট, গাড়ি ও জাহাজসহ ছয়টি প্রধান উৎপাদন খাতই গেলো বছর যথেষ্ট চাঙা ছিল। বিশ্বজুড়ে স্যামসাং মোবাইলের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পুঁজি করে হ্যান্ডসেটের বাজারে শীর্ষে থেকেই বছর শেষ করে কোরিয়া। এছাড়া গাড়ি উৎপাদনে পঞ্চম ও ইস্পাত পণ্য রপ্তানিতে দেশটির অবস্থান ছিল তৃতীয়। কোরিয়াভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তিন জাহাজা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুন্দাই, ডিএসএমই ও স্যামসাং গেলো বছর জাহাজ নির্মাণের রেকর্ডসংখ্যক অর্ডার পেয়ে এই খাতে কোরিয়াকে নিয়ে আসে দ্বিতীয় অবস্থানে।
কোরিয়ানদের দীর্ঘ সময় কাজ করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে কেআইটিএ প্রকাশনায়। ২০১১ সালে একজন কোরিয়ান গড়ে ২,০৯০ ঘণ্টা কাজ করেছেন যা মেক্সিকানদের (গড় ২,২২৬ ঘণ্টা) পরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কোরিয়ানরা এখনও পিছিয়ে আছে নারী কর্মসংস্থানের বিষয়টিতে। গত বছর নারী শ্রমিক নিয়োগে বিশ্বে কোরিয়ার অবস্থান ছিল ২৫তম। বানিজ্যিক খাতে জাতীয় স্বচ্ছতা অর্জন ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতৃত্ব তৈরিতে কোরিয়াকে আরও অনেক কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে বইটিতে। ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টের এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে কেআইটিএ বলছে, ২০১৩ সালের গ্লোবাল ট্রান্সপারেন্সি ইনডেক্সে কোরিয়া আছে ২৯ টি দেশের পিছনে। একই প্রতিষ্ঠানের জরিপে কর্পোরেট দুনিয়ার নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে কোরিয়ানদের সংখ্যা বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ৪১ নম্বরে।