Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মাশরাফিকে ধরেই কেঁদে দিলেন এক ছোট্ট ভক্ত

mashrafee

আবারো প্রশংসায় ভাসলেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে তরুণের হাট সংগঠনের অনুষ্ঠানে এক ছোট্ট ভক্তের ঠাঁই হলো নড়াইল এক্সপ্রেসের বুকে।

chardike-ad

গত শুক্রবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে তরুণের হাট সংগঠনের অনুষ্ঠানে মধ্যমণি ছিলেন মাশরাফি। হঠাৎ করে সব বাধা অতিক্রম করে মঞ্চে উঠে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠে ছোট্ট এক ভক্ত। পুলিশ ও আয়োজক কর্মীরা ওই ভক্তকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। মাশরাফির কাছ থেকে ভক্তকে দূরে ঠেলে দেন।

কিন্তু মাশরাফি বলে কথা। এগিয়ে যান নিজ থেকেই। বুকে জড়িয়ে নেন ছোট্ট সেই ভক্তকে। তার এমন কাজ আবারো ছুঁয়ে গেছে হাজারও ভক্তের হৃদয়।

মাশরাফি ছাড়াও ওই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি বছর তরুণের হাটে উৎসবে বিশেষ কিছু আকর্ষণ থাকে। গত বছর ছিলেন অভিনেতা মোশাররফ করিম ও তার স্ত্রী জুঁই। এবার মাশরাফি।

কেন টি-২০তে ফিরবেন না মাশরাফি?

ঘরের মাঠে সদ্য শেষ হওয়া টি-২০ সিরিজে একজন যোগ্য নেতার অভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। সেটি অনুধাবন করেই তাকে টি-২০-তে আবারো ফিরে পেতে মরিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে ক্রিকেটের সংপ্তি ফরম্যাটে ফেরার কোনো ইচ্ছা নেই জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির। ‘যেহেতু ছেড়ে দিয়েছি, তাই টি-২০ খেলার আসলেই আর কোনো ইচ্ছা নেই। এ ছাড়া উঠতি তরুণদের সুযোগ করে দেয়ার এটা খুব ভালো সময়। যদি খেয়াল করেন এখন আবু হায়দার রনি এবং আবু জায়েদ রাহি আসছে। ওদের জন্য বড় সুযোগ রয়েছে টি-২০ থেকে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়া ও দলকে লম্বা সময় সার্ভিস দেয়ার। ছেড়ে দেয়ার এটিও একটি কারণ।’

আরো একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, বিসিবির অনুরোধ রক্ষা করে যদি টি-২০-তে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন মাশরাফি তাহলে নিজ দেশে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিশ্চই মনোকষ্টে ভুগবেন চন্দিকা হাতুরা সিংহে। ওই ভেনুতেই ক্যারিয়ারের শেষ টি-২০ খেলেছেন ম্যাশ। সেই ভেনুতেই মাশরাফি ফিরলে বিব্রতকর পরিস্থিতি হতে পারে হাতুরার জন্য। এই কোচের জন্যই যে মাশরাফি অভিমানে ছেড়েছেন টি-২০। ওয়ানডেতে টানা সাফল্য এনে দেয়ার পর টি-২০ দলকেও যখন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন মাশরাফিকে এ ফরম্যাট থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে বলেন হাতুরা। কোচের এ উদ্ভট, অন্যায্য ও খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত বিস্ময়করভাবে মুখ বুজে মেনে নিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন, খালেদ মাহমুদ সুজনের বিসিবি। এক বছর যেতে না যেতেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে বিসিবি। মাশরাফির ফেরা মানে হাতুরার নৈতিক পরাজয়।

মানুষ হিসেবে মাশরাফি স্পষ্টবাদী। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। নিশ্চয়ই গত বছরের সেই নিগ্রহের কথা তিনি ভুলে যাননি। পাপনের অনুরোধের সাথে অদৃশ্য একটা চাপও থাকবে মাশরাফির ওপর। সেই চাপ উপেক্ষা করা সহজ নয়। মাশরাফির পরিবর্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। তবে চোটের কারণে লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন না সাকিবও। যোগ্য অধিনায়কত্ব আর পরিকল্পনার অভাবে লঙ্কানদের কাছে বাজেভাবে আত্মসমর্পণ করে টাইগাররা। তাই দলের এমন দলের বিপর্যয় দেখে বিসিবি মাশরাফিকে আবারো টি-২০ ফরম্যাটে ফিরিয়ে আসার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

মাশরাফি জাতীয় দলের হয়ে ৫৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলেন। যার মধ্যে ৮.০৪ রানের ইকোনমিতে উইকেট নেন ৪২টি। আর তার অধিনায়কত্বে ২৮টি টি-২০ খেলে টাইগাররা। যার মধ্যে ১০টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আর হারে ১৭টিতে। বাকি একটি ম্যাচ ড্র হয়।