শেষ ওভারে প্রয়োজন ১২ রান। মোস্তাফিজ স্ট্রাইকে। বোলার ইসুরু উদানা টানা দুটি বাউন্সার দিলেন। রানআউটও হলেন মোস্তাফিজ; কিন্তু কাঁধের ওপর দুটি বাউন্সারে একটাও ওয়াইড কিংবা নো ডাকলেন না আম্পায়াররা। এরই তুমুল প্রতিবাদ করে ওঠেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং রুবেল হোসেনকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বলেন।
ওই অবস্থায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা মাঠ ছেড়ে উঠে আসলে ওয়াকওভার পেয়ে যেতো শ্রীলঙ্কা। সে ক্ষেত্রে বিদায় নিতো বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে এমন মাথা গরম সিদ্ধান্ত অবশ্য ঠেকান টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। রিয়াদদের তিনি মাঠ থেকে উঠে আসতে দিলেন না। যদিও মাঠের মধ্যেই আম্পায়ার এবং শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তর্ক বেধে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
সাকিব যখন বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে দলকে বার বার উঠে আসতে বলছিলেন, তখন তার পাশে উত্তেজিত ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশ দলের একাদশের বাইরের আরেক ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানকে। শেষ তিন বলে ১২ রান নিয়ে রিয়াদ যখন বাংলাদেশকে জয় উপহার দিলেন, তখন উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো বাংলাদেশ।
মাঠে ছুটে এসে রিয়াদকে জড়িয়ে ধরলেন ক্রিকেটাররা। ক্রিজের মধ্যেই দিলেন নাগিন ড্যান্স। বাংলাদেশ দলের এই বিজয় উদযাপনে বাধ সাধে লঙ্কান ক্রিকেটাররা। উত্তেজিত লঙ্কান ফিল্ডার কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে তর্কাতর্কি, এমনকি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যান নুরুল হাসান সোহান। সাকিব আল হাসানরা এসে তাকে নিভৃত করেন।
মাঠের উত্তেজনা ভালোই খেলোয়াড়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বোঝাই যাচ্ছিল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বীতা দিন দিন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে এ দু’দেশের লড়াই অ্যাশেজ, পাকিস্তান-ভারতের মতই হয়তো গুরুত্ব পাবে একদিন।