Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

স্মিথ কাঁদলেন, কাঁদালেন…

smith 01ক’দিন আগেও ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। কিন্তু বল টেম্পারিং ঘটনায় সেই স্মিথই এখন সমালোচিত। সিরিজ চলা অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে নেয়া হচ্ছে অজি এই ক্রিকেটারকে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিমান বন্দরে নেমে সাংবাদিকের মাধ্যমে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে স্মিথ বলেন, আমরা বড় ধরনের ভুল করেছি। তার দায় আমরা নিচ্ছি। এটা ছিল আমার নেতৃত্বে একটা ব্যর্থতা। এ কথা বলতে না বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্মিথ। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের ভুলের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, সুযোগ পেলে তা পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। সিডনির বিমানে ওঠার আগে নিরাপত্তার নামে স্টিভেন স্মিথকে এভাবে অপমান করাটা আফ্রিকান পুলিশের আদৌ উচিত ছিল কি? দক্ষিণ আফ্রিকান পুলিশ স্মিথকে নিরাপত্তার নামে যেভাবে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে কোনো খুনের আসামিকে নেয়া হচ্ছে।

chardike-ad

কী এমন অপরাধ করেছেন স্মিথ যে, এভাবে তাকে খুনের আসামির মতো নেয়া হবে?

ম্যাচ গড়াপেটা, ম্যাচ ফিক্সিং ক্রিকেটের জন্মের পর থেকেই হয়ে আসছে। অতীতে এমন অহরহ ঘটনা ঘটেছে। এমন অনেক নামিদামি ক্রিকেটার আছেন যারা এর চেয়েও মারাত্মক অপরাধ করে দোষ গোপন রেখে শাস্তির খড়গ থেকে বেঁচে গেছেন।

সেই বিবেচনায় স্মিথের অপরাধটা যৎসামান্য। তিনি নিজে তো আর বল টেম্পারিং করেননি! আবার কাউকে দিয়ে করার পরামর্শও দেননি। যেটা হয়েছে, তার সহঅধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের পরামর্শে বল টেম্পারিং করেছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। আর সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন স্মিথ। তিনি যদি ওয়ার্নার এবং ব্যানক্রফটের পাশে না দাঁড়িয়ে দোষ নিজের কাঁধে না নিয়ে সোজাসাপটা বলে দিতেন কি হয়েছে আমি জানি না! তাহলে স্মিথকে আজ এই অবস্থার পড়তে হতো না।

smith 02ক্রিকেটে অতীতে এমন ঘটনায় তেমন কোনো বড় ধরনের শাস্তি হয়েছে তেমন নজিরও নেই। হয়তো প্রতিপক্ষ দলকে কিছু বাড়তি রান দিয়ে দেয়া, না হয় বল টেম্পারিংয়ে জড়িত ক্রিকেটারের ম্যাচ ফি কেটে নেয়া। এই ছাড়া আর কিছু হয়নি।

বিশ্বের সর্বকালের অনত্যম সেরা এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে এমন অশোভন আচরণ কি আদৌ উচিত ছিল। আইসিসির টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় এখনও শীর্ষে রয়েছেন স্মিথ। ক’দিন আগেও ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান দলের অধিনায়ক। অথচ বিশ্বের এই তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে আফ্রিকান পুলিশের এমন অপমানজনক আচরণ ক্ষমার অযোগ্য।

ব্যানক্রফট এবং ডেভিড ওয়ার্নারের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব, আইপিএলের নেতৃত্ব হারানোসহ জাতীয় দল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন স্মিথ। শুধু তাই নয়! আফ্রিকান পুলিশের হাতে রীতিমতো অপমানিত এবং লাঞ্ছিত হলেন ক্রিকেটের এই মহাতারকা।