Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের সেঞ্চুরি, আপেক্ষায় আরো এক ডজন

ministry-of-educationনতুন করে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের মোট সংখ্যা সেঞ্চুরি ছুঁল। এর আগে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ৯৮টি। যার মধ্যে বর্তমানে ৯৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আরও অন্তত এক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদনের সরকারি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মহিউদ্দীন খান বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের তুলনায় পর্যাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সেদিক বিবেচনা করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া প্রয়োজন।’

chardike-ad

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনে সমস্যা না। সমস্যা হলো শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ করা। তারা (উদ্যোক্তা) অনুমোদন নিয়ে মান রক্ষা করতে পারছেন না। স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গিয়ে ভাড়া বাড়িতে শিক্ষা দেন। মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে না-এ ধরনের অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করছি।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো ‘খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়’ ও ‘আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। বিশ্ববিদ্যালয় দুটির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে যথাক্রমে-১৪০ কেডিএ, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহা সড়ক, ছোট বয়রা, সোনাডাঙ্গা, খুলনা এবং ২১৬/১ তালাইমারি, পো. কাজলা, রাজশাহী-৬২০৫।

বিশ্ববিদ্যালয় দুটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। এর আগে তিনি ‘আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির’ অনুমোদন নিয়ে পরিচালনা করছেন।

মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতিতে এবং একই আইনের ৭ এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী ২৩টি শর্তে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন, কমপক্ষে তিনটি অনুষদ ও ছয়টি বিভাগ, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, ছাত্রছাত্রীদের জন্য কমনরুম, সেমিনার কক্ষসহ পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকতে হবে। পূর্বানুমোদন ছাড়া বিভাগ খোলা যাবে না।

এ ছাড়া প্রতিটি বিভাগে শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্টসংখ্যক পূর্ণকালীন শিক্ষক থাকতে হবে। আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) পূর্ব অনুমোদন ছাড়া বিদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা যাবে না। আরোপিত শর্তগুলো ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় দুটি স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। ঢাকায় আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন না দেয়ার ব্যাপারে সরকারের একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল। তা লঙ্ঘন করে গত ২৯ জানুয়ারি ‘জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গুলশানে এটি স্থাপন করা হবে। উদ্যোক্তা ড. এম. জুবায়দুর রহমান।