একদিন আগেই টেস্ট র্যাংকিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলে আট নম্বরে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ। এবার ঘোষণা করা হলো আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংও। বার্ষিক এই র্যাংকিংয়ে সাত নম্বরেই রয়েছে বাংলাদেশ। তবে, টাইগারদের পয়েন্ট বেড়েছে ৩টি। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এখন বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯৩। অষ্টম স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার রেটিং পয়েন্ট কমেছে ৭টি। নতুন র্যাংকিংয়ে তাদের মোট রেটিং পয়েণ্ট ৭৭।
তবে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাজিমাত করেছে ইংল্যান্ড। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে ইংলিশরা। পেছনে ফেলেছে ভারতকে। নতুন র্যাংকিংয়ে ইংল্যান্ডের পয়েণ্ট বেড়েছে ৮। মোট রেটিং পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১২৫। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের রেটিং পয়েন্ট কমেছে ১টি। তাদের মোট পয়েণ্ট ১২২।
আইসিসি বার্ষিক ওয়ানডে র্যাংকিং প্রকাশ করেছে আজ (২ মে)। যেখানে যোগ করা হয়েছে ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ মৌসুমের ফলাফলের অর্ধেক, তথা ৫০ ভাগ পয়েন্ট। পুরোপুরি ধরা হেয়ছে ২০১৭-১৮ মৌসুমের পয়েন্ট। স্বাভাবিকভাবেই নতুন হিসাব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ২০১৪-১৫ মৌসুমের ফলাফল। এ কারণেই র্যাংকিংয়ে এতটা উপরে উঠে আসতে পারলো ইংলিশরা। ২০১৪-১৫ মৌসুমটা ছিল তাদের খুবই খারাপ। সেটার ২৫টি ওয়ানডের মধ্যে তারা জিততে পেরেছিল মাত্র সাতটি।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা নেমে গেছে তিন নম্বরে। তারা হারিয়েছে চার পয়েণ্ট। ১১৭ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১১৩ পয়েণ্ট। চার নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রোটিয়াদের চেয়ে মাত্র ১ পয়েণ্ট পিছিয়ে কিউইরা। যদিও নিউজিল্যান্ড পয়েণ্ট হারিয়েছে ২টি। না হয়, তারাই হয়তো থাকতো তিন নম্বরে।
পরের সবগুলো স্থানে অবশ্য আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। কারণ, দলগুলোর পয়েণ্ট বাড়লেও অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগেই ৫ নম্বরে ছিল অস্ট্রেলিয়া। এবারও রয়েছে। তবে, অসিরা পয়েণ্ট হারিয়েছে ৮টি। এখন তাদের রেটিং পয়েণ্ট ১০৪। ৬পয়েণ্ট অর্জন করেছে পাকিস্তান। তাদের মোট পয়েণ্ট ১০২ হলেও অবস্থান রয়েছে সেই আগের জায়গায়, ৬ নম্বরে।
সাত নম্বরে বাংলাদেশ, পয়েণ্ট ৯৩, আট নম্বরে শ্রীলঙ্কা, পয়েণ্ট ৭৭ এবং নয় নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পয়েণ্ট ৬৯। ক্যারিবীয়রা হারিয়েছে ৫টি পয়েণ্ট। ৫ পয়েণ্ট বেড়েছে আফগানিস্তানের। ৬৩ পয়েণ্ট নিয়ে তারা এখন রয়েছে ১০ নম্বরে। ৪ পয়েণ্ট অর্জন করলেও জিম্বাবুয়ে রয়েছে আগের ১১তম স্থানেই। তাদের মোট পয়েণ্ট ৫৫।
