Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মেসি-রোনালদোর পর নেইমারের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব

neymer

লিওনেল মেসি যা পারেননি তার তিনগুণ বেশি করে দেখিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এবার পালা নেইমারের। বিশ্বমঞ্চে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে রবিবার তার সূচনাটা ঠিক কেমন হয়, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। কিন্তু সমস্যা একটাই। নেইমারের চোট। মেসি-রোনালদোর ক্ষেত্রে যা ছিল না। আর তাই ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেও ব্রাজিলের প্রথম একাদশে নেইমারের উপস্থিতি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

chardike-ad

গত বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে জার্মানির কাছে হেরে সেমিফাইনালেই শেষ হয়েছিল ব্রাজিলের বিশ্বকাপের সফর। এবারের বিশ্বকাপে যাদের প্রথম প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। নেইমারহীন সেলেকাওদের আত্মবিশ্বাস এক ঝটকায় কতটা তলানিতে চলে যায় তা গত বিশ্বকাপেই দেখা গেছে। তাই প্রাক্তন বার্সা স্ট্রাইকারকে রেখেই দল সাজাতে চাইছেন কোচ তিতে।

শোনা যাচ্ছে, উইলিয়ান, জেসুস ও নেইমারকে সামনে রেখে ছক সাজাবেন তিনি। তিতে জানিয়ে দিয়েছেন, ফ্রেড ও অ্যালভিস ছাড়া গোটা দলই ফিট। ম্যাচ শুরুর আগে যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন, নেইমার একশো শতাংশ ফিট নন। তবে পরক্ষণেই এও বলে দেন, সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট ব্রাজিলীয় পোস্টার বয়।

তার কথায়, নেইমার একশো শতাংশ ফিট না হলেও ও এমনিতেই খুব শক্তিশালী। মানসিকভাবেও তৈরি। তবে মেডিকেল স্টাফরা এ বিষয়ে আরও ভালো বলতে পারবে। আমি মনে করি ও খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট।

অনেকেই মনে করছেন প্রথম ম্যাচে বড়সড় ঝুঁকি নেবেন না তিতে। তাই পুরো ম্যাচে তাকে নাও খেলাতে পারেন। তবে এদিন নেইমার নন, তিতের রোটেশন নীতি মেনে অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে মার্সেলোকে।

ডান পায়ে চোট নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল নেইমারকে। যদিও ফিরে এসেই বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে স্বমহিমায় ধরা দিয়েছেন। শুধু তিনি নন, দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে গোটা দল। ২০টি ম্যাচ অপরাজিত থেকে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে পৌঁছেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

সাফল্যের এই গ্রাফও নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস জোগাবে দলকে। কোয়ালিফায়ারের মতো পারফরম্যান্সই এই মঞ্চেও দেখা যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী কোচ। সুইজারল্যান্ডকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না তিতে। কারণ তিনি ভালই জানেন সুইসরা কঠিন প্রতিপক্ষ।

ভ্লাদিমির পেটকোভিচের দলের মাঝমাঠও শক্তপক্ত। রোস্তভ এরিনায় নজর থাকবে জারদান শাকিরির দিকে। বলা যেতে পারে সুইস মাঝমাঠ ও সেলেকাও ফরোয়ার্ডের লড়াই দেখতেই আজ রাত জাগবেন ফুটবলপ্রেমীরা।