Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিউলে ইপিএসের দশ বছর পুর্তি উপলক্ষে মতবিনিময়

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) এর ১০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে ইপিএসে আগত দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে মতবিনিময় শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।

মোহাম্মদ আল আজিম

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) এর ১০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে ইপিএসে আগত দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে মতবিনিময় শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় ইপিএসের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে ইপিএস বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপায় তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ইপিএসে আসা নারী কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি মেয়াদ শেষে কর্মীদের শরণার্থী ভিসা পরিবর্তন,অবৈধ হওয়ার প্রবণতা, প্রলোভনে পড়ে কোম্পানি পরিবর্তনসহ নানা বিষয়ে ইপিএস কর্মীদের আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। বৈধ ভাবে অর্থ প্রেরণ,কর্মীদের মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে যাওয়াসহ উদ্যোক্তা তৈরী ও প্রশিক্ষণের সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তার বক্তব্যে কোরিয়াতে বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খুলে পড়ালেখার সুযোগ তৈরীর ব্যাপারেও আলোচনা করবেন বলে জানান।

দূতাবাস প্রথম সচিব জনাব জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে কোরিয়া অবস্থিত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের ইপিএসে আগত কর্মীগণ অংশগ্রহণ করেন। ইপিএসের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইপিএস কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন কোরিয়ার ইপিএসভিত্তিক সংগঠন ইপিএস স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন (ইসো), ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া, ইপিএস কোরিয়া বাংলা কমিউনিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।র

অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাস প্রথম সচিব জনাব জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া দূতাবাসের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি ইপিএস কর্মীদের বিভিন্ন তথ্য সেবা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক সংগঠনগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সভায় কোরিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের অবস্থান, ইপিএসের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত, ইপিএসের সমস্যা ও সমাধানের উপায়, অন্যান্য দেশের চেয়ে ইপিএসে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণ এবং ইপিএসে আরো বেশি বাংলাদেশী নিয়োগের উপায়সহ ইপিএসের সার্বিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন বক্তারা। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এসকল বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন ‘আপনাদের প্রতিটি বিষয়ে আমি সঠিক পদক্ষেপ নিবো এবং সবসময় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করে যাবো। আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান ও কোরিয়া প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্ঠা আমাদের থাকবে।

দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাস পরিবার ও কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদের অংশগ্রহণে এক মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে র‍্যাফল ড্র করা হয় এবং বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।