Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

স্পেনে আবাসন সংকটে বিপাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

spainস্পেনে আবাসন সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে রাজধানী শহর মাদ্রিদ ও পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সমস্যার প্রভাব পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও।

স্পাউস ভিসা বা বাংলাদেশ থেকে ফ্যামিলি নিয়ে আসার জন্য স্পেনে ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্র প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ভাড়া নেয়ার জন্য ঘর কিংবা সামর্থ্য অনুযায়ী ঘর ভাড়া না পেয়ে বিপাকে আছেন অনেকেই। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস ও এর আশপাশে যে ঘরগুলো পাওয়া যাচ্ছে তার ভাড়া আকাশচুম্বী। এক বেডরুমের ঘরের ভাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ ইউরো দাবি করা হচ্ছে।

chardike-ad

বার্সেলোনায়ও একই অবস্থা। প্রবাসী বাঙালি অধ্যুষিত মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় স্পেনের অন্যান্য শহরগুলোর চেয়েও অত্যাধিক বেশি হওয়ায় তাদেরকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সম্প্রতি মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা শহরের যাবতীয় নাগরিক বিড়ম্বনা একটি নতুন মাত্রা হিসেবে যুক্ত হয়েছে ক্রমবর্ধমান আবাসন ব্যয় বা বাড়িভাড়া। শহরের সর্বত্র সর্বস্তরের আবাসন ব্যয় বাড়লেও এর মূল শিকার হচ্ছেন মূলত প্রবাসীরা।

জীবন যাপনের অন্যান্য ব্যয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা আবাসন ব্যয়ের ফলে হিমশিম খাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারগুলো। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি রক্ষা করা দিনে দিনে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে।

spain

তাই প্রয়োজন বাড়ি ভাড়া আইনের কার্যকর প্রয়োগ ও ভাড়ার হার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কর্তৃপক্ষ গঠন করে তার বাস্তবায়নের দাবিতে সম্প্রতি মাদ্রিদে র‌্যালি ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে স্পেনের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও অভিবাসীরা। প্রায় পাঁচ হাজার স্থানীয় আদিবাসীদের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এ র‌্যালি ও বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশগ্রহণ করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এ সময় তারা স্পেনে ঘর বা ফ্ল্যাটের ভাড়া প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন অভিযোগ এনে প্রতিবাদকারীরা অবিলমম্বে পর্যটকদের বাসা ভাড়া দেয়া বন্ধের দাবি জানান।

মাদ্রিদে আবাসন সমস্যা প্রসঙ্গে মাদ্রিদ সিটি কর্পোরেশন মেয়র মানুয়েলা কারমেনা কাস্ত্রিও বলেন, আবাসন সংকট মাদ্রিদের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে মাদ্রিদের প্রাণকেন্দ্রে এটি একটি প্রধান সমস্যা। সিটি কর্পোরেশন একটি গুরুত্ব পূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাড়ির মালিকরা বছরে ৯০ দিনের বেশি পর্যটকদের বাড়ি ভাড়া দিতে পারবে না। করা এ আইন মানছে না তা আমরা পর্যবেক্ষণ করবো।

মাদ্রিদে আবাসন সমস্যা প্রসঙ্গে মাদ্রিদ সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র খর্খে গ্রাসিয়া বলেন, পর্যটকদের জন্য লাইসেন্সবিহীন ফ্ল্যাট যারা ভাড়া দিচ্ছেন, তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। মাদ্রিদ সিটিতে লাইসেন্সবিহীন ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়া বন্ধ করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী আল মামুন বলেন, ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যটকদের স্বল্প সময়ের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে ফ্ল্যাটের মালিকরা লাভবান হচ্ছেন। এক্ষেত্রে লাইসেন্স নেই অধিকাংশরই। সরকারও পাচ্ছে না ট্যাক্স। এছাড়া রেন্ট কোম্পানির মাধ্যমেও ফ্ল্যাটের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। এমন অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে সিটি কাউন্সিলগুলোতে।

সৌজন্যে- কবির আল মাহমুদ