Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাভারে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

savar-footballসাভারে বিশ্বকাপ ফুটবলের ব্রাজিল-বেলজিয়ামের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঢাকা জেলা (উত্তর) তাঁতী লীগের সভাপতি হাজী মোবারক হোসেন খোকনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত ১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার কর্নপাড়া মহল্লায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাতেই অভিযান চালিয়ে রহমত উল্লাহ নামে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

chardike-ad

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার কর্নপাড়া মহল্লার সড়ক বন্ধ করে প্রজেক্টর লাগিয়ে খেলা দেখছিলেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সময় ঢাকা জেলা (উত্তর) তাঁতী লীগের সভাপতি হাজী মোবারক হোসেন খোকন বাড়িতে ফিরছিলেন। সড়ক বন্ধ করে খেলা দেখার কারণ জানতে চেয়ে এর প্রতিবাদ করেন তিনি।

এ নিয়ে তার সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের তর্কবিতর্ক লেগে যায়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা রহমত উল্লাহসহ তার লোকজন খোকনের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খোকনকে বাঁচাতে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে তাঁতী লীগের নেতা হাজী খোকনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সঙ্গে গুরুতর অবস্থায় হাজী মোবারক হোসেন খোকনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাজী মোবারক হোসেন খোকন বলেন, সড়ক বন্ধ করে খেলা দেখার প্রতিবাদ করায় বিএনপি নেতা রহমত উল্লাহ, সেন্টু, শাওন, সাব্বির, সোহান, আসলাম, বুলবুল, মন্টু ও রাশেদ আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি রেফাত উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা উসকানি না দিলে এমন ঘটনা ঘটতো না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিনুল কাদির বলেন, খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ