Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জাপানে বাঁদরের পরিবেশনায় রেস্তোরাঁ

mankey-restaurentজাপানের এক নাম করা রেস্তোরাঁর নাম কায়াবুকি টাভার্ন। বাইরে থেকে দেখতে আর পাঁচটা রেস্তোরাঁর মতো হলেও আসল মজাটা কিন্তু ভিতরে। ভিতরে কোনও পুরুষ বা মহিলা ওয়েটার নেই, আছে তিনটে বাঁদর। এই তিন বাঁদরই অতিথিদের অর্ডার সার্ভ করে। ফুকু চ্যান নাম ধরে ডাকলেই হাজির হবে একজন।

আপনার পছন্দের অর্ডার করা ডিস বা বিয়ার নিয়েও হাজির হবে তারা। কোনও পারিশ্রমিক ছাড়াই তারা কাজ করে। তিন বেলা কলা দিলেই তারা সন্তুষ্ট। মূলত এই বাঁদর ওয়েটারের জন্য এই রেস্তোরাঁয় ভিড় করে বিভিন্ন দেশ বিদেশের পর্যটকেরা। যাদের এই রেস্তোরাঁ সম্বন্ধে কোনও ধারণা নেই বা যারা প্রথমবার যান, তাঁরা রেস্তোরাঁয় বাঁদর দেখে একটু অবাক হয়ে যান। প্রথমটায় হকচকিয়ে যান অনেকেই।

chardike-ad

রেস্তোরাঁর প্রধান আকর্ষণ এই ওয়েটার ফুকু চ্যান। মাত্র তিন বছর বয়সে এই রেস্তোরাঁর মালিক ইয়াক চ্যান তাকে নিয়ে আসেন। তিনি লক্ষ্য করেন, তিনি যা করছেন বাঁদরটিও তাঁকে নকল করে সেটাই করছে।

এরপর তিনি ঠিক করেন এই বাঁদরকে দিয়েই কাজ করাবেন। এরপর থেকে অর্ডারের সব জিনিস সবার কাছে পৌঁছে দিতে থাকে এই বাঁদর। শুধু ওয়েটারের কাজ নয়, এই ফুকু চ্যান মাঝে মাঝে বলের ওপর ব্যালান্স করা, লং জাম্প রনপায়ে হেঁটে খেলাও দেখায়। রেস্তোরাঁয় খেতে আসা লোকজন তাদের সঙ্গে ফটো তোলাটা কেউ মিস করে না।

মালিক ইয়াক চ্যানের কাছে এই বাঁদরগুলো তাঁর পরিবারের সদস্যদের মতো। খাওয়া ঘুম সবটাই তাদের সঙ্গে। ইয়াক চ্যানের কথায় এই বাঁদরগুলো তাঁর কাছে খুবই প্রিয় এবং এদের ছাড়া কিছু ভাবতে পারেন না তিনি। তিনি আদর করে বলেন, ‘দে আর সো সো সো কিউট।’