imran-khan

খরা মোকাবেলায় বাঁধ নির্মাণে গঠিত তহবিলে সহায়তার জন্য দেশে-বিদেশে থাকা সব  পাকিস্তানি নাগরিকের কাছে আবেদন করেছেন দেশটির নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর দ্য নেশন ও ডন।

chardike-ad

শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ভাষণে সাহায্যের আবেদন করে প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দেন, বর্তমানে পাকিস্তানের যে সক্ষমতা রয়েছে তা দিয়ে বড়জোর এক মাস পানি মজুদ রাখা যায়। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি সব পাকিস্তানির কাছে, বিশেষ করে যারা প্রবাসী তাদের কাছে আবেদন করছি যেন এ তহবিলে তারা উদারহস্তে দান করেন।’

তীব্র পানি সংকট মোকাবেলায়  প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছে ইমরান খান আবেদন করেছেন, তারা যেন প্রত্যেকে অন্তত ১ হাজার ডলার সাহায্য করেন। বিশেষ করে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা পাকিস্তানি প্রবাসীদের কাছে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অনুদান দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

টেলিভিশন ভাষণে ইমরান বলেন, পানি হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় ইস্যু। গত দুই সপ্তাহে তিনি এ বিষয়ে বেশকিছু প্রেজেন্টেশন পর্যবেক্ষণ করেছেন।

বাঁধ তৈরিতে নেয়া সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মিঞা সাকিব নিসারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন তেহরিক-ই ইনসাফ প্রধান। তিনি আরো বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা যদি বাঁধ তৈরি না করি তাহলে সাত বছরের মধ্যে খরার মুখোমুখি হব। আজ থেকেই আমাদের বাঁধ তৈরি শুরু করতে হবে।’

ইমরান খান আরো বলেন, বাঁধ নির্মাণে সৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি তহবিল দুটোকে একীভূত করা হবে।

তহবিলে সহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে ইমরান খান বলেন, ‘তহবিলে সহায়তা পাঠানোর জন্য আমি সব প্রবাসী পাকিস্তানির কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। যদি সব প্রবাসী পাকিস্তানি এ তহবিলে সহায়তা পাঠান, তাহলে আমরা বাঁধ নির্মাণ করতে পারব এবং আমাদের রিজার্ভ সবল হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কেউ আমাদের ঋণ দেবে না। আমাদের অবশ্যই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। আপনাদের অর্থের সুরক্ষার নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি।’

পাকিস্তানের তীব্র পানি সংকট নিরসনে একটি মন্ত্রণালয় গঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাঁধ নির্মাণ না হলে ২০২৫ সাল নাগাদ পাকিস্তান খরা পরিস্থিতিতে পড়বে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।

প্রবাসীদের কাছে তিনি আরো আহ্বান জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানে যেন বিনিয়োগ করেন, দেশটির ব্যাংকগুলোয় সঞ্চয় করেন এবং রেমিট্যান্স পাঠান। গত মাসে প্রবাসী পাকিস্তানিদের আগামী উপনির্বাচনে ভোটাধিকার অনুমোদিত হয়েছে।

ইমরান তার ভাষণে আরো বলেন, প্রবাসীরা সবসময়ই তার পাশে ছিলেন এবং অতীতে  শওকত খানম মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও মিয়ানওয়ালির নমল কলেজ স্থাপনে তারা সহায়তা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো ঋণের প্রয়োজন নেই। আপনাদের কষ্টে অর্জিত প্রতিটি পয়সা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি।’

সূত্রঃ বণিকবার্তা।